পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামাজিক আন্দোলন WD8V) তাৎপৰ্য্য অনুসারে উহা আকৰ্ত্তব্য। তিনি বহুল শাস্ত্রীয় প্ৰমাণ সহকারে প্ৰতিপন্ন করিয়াছিলেন যে, সহমরণ অপেক্ষা ব্ৰহ্মচৰ্য্য শ্রেষ্ঠ । এতদ্ভিন্ন, সতীদাহ বিষয়ে তাহার সমুদায় যুক্তির সারমর্ম লিখিয়া ইংরেজী ভাষায় আর একখানি পুস্তক প্ৰকাশ করেন । সতীদাহ বিষয়ে তর্ক-যুদ্ধ ও আন্দোলন কুসংস্কারান্ধ প্ৰাচীনতন্ত্রের লোকদিগের ক্ৰোধের ইয়ত্ত থাকিল না। রামমোহন রায়ের গ্রন্থের প্রতিবাদ করিয়া উত্তর বাহির হইল । ঘোবতীর তর্ক-যুদ্ধ চলিতে লাগিল। তিনি প্ৰতিপন্ন করিলেন যে, হিন্দুশাস্বানুসারে, পত্যনুগমন কাম্যকৰ্ম্ম বলিয়া নিন্দনীয়। তাহার বিপক্ষগণ বিচারে সম্পূর্ণরূপে পরাভূত ও নিরুত্তর হইলেন । সতীদাহ সম্বন্ধে তিনটি কথা রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ বিষয়ক শাস্ত্রীয় বিচারে তিনটি বিষয় প্ৰতিপন্ন করেন। প্রথমতঃ, শাস্ত্ৰানুসারে পত্যনুগমন অবশ্যকৰ্ত্তব্যের মধ্যে পরিগণিত নহে। উক্ত বিষয়ে শাস্ত্রের কোন আদেশ নাই, অর্থাৎ সহমৃতা না হইলে যে, প্ৰত্যবায় হয়, এমন নহে। দ্বিতীয়তঃ, সমস্ত শাস্ত্ৰেই কাম্য কৰ্ম্ম নিন্দিত হইয়াছে। সহমরণ কাম্য কৰ্ম্ম, শাস্ত্রের প্ৰকৃত তাৎপৰ্য্য অনুসারে সহমরণ অপেক্ষা ব্ৰহ্মচৰ্য্য শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম । সুতরাং, সহমৃতা না হইয়া ব্ৰহ্মচৰ্য্য অবলম্বন পূর্বক জীবনযাপন করাই বিধবার পক্ষে শ্ৰেয়স্কর। তৃতীয়তঃ, শস্ত্রের বিধান অনুসারে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সহমৃতা হওয়া আবশ্যক । স্বাধীনভাবে সঙ্কল্প করিবে, স্বাধীনভাবে চিন্তারোহণ করিবে, এবং স্বাধীনভাবে জ্বলন্ত অনলে আপনার জীবন্ত