ऊभांख्रिक उन्ग्व्जन \©8 ዓ তাহারাও নির্দোষী ; এবং ঐ দুষ্কাৰ্য্য হইতে তাহাদিগকে নিবৃত্ত করিতে চেষ্টা করা কখনই উচিত নহে। বাস্তবিক ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম নিরূপণের উপায় শাস্ত্র এবং শাস্ত্রসম্মতযুক্তি। এরূপ স্ত্ৰীবধ শাস্ত্ৰবিরুদ্ধ। অবলাকে স্বৰ্গাদি প্ৰলোভন দেখাইয়া বন্ধনপূর্বক হত্যা করা যুক্তি অনুসারেও অত্যন্ত পাপীজনক । স্ত্ৰীবধ, ব্ৰহ্মবধী, পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যা ইত্যাদি দারুণ পাতক সকল দেশাচার বলিয়া ধৰ্ম্মরূপে গণ্য হইতে পারে না। যদি কোন দেশে এরূপ আচার প্রচলিত হয়, তবে সে দেশ পতিত হয় । অতএব, বলপূর্বক কোন স্ত্রীলোককে বন্ধন কবিয়া অগ্নিদ্বারা দাহ করা সর্বশাস্ত্ৰনিষিদ্ধ এবং অতিশয় পাপীজনক । এক দেশীয় লোকের কথা কি ? যদি সমুদায় দেশের লোক একমত হইয়া ঐরূপ স্ত্ৰীবধ করে, তাহা হইলেও বধকৰ্ত্তারা অবশ্য পাতকী হইবে । অনেকে একমত হইয়া বধ করিয়াছি, এই কথার ছলে ঈশ্বরের শাসন হইতে তাহারা নিস্কৃতি পাইতে পারে না। শাস্ত্ৰে যে যে ক্রিয়ার কোন বিশেষ বিধি নাই, সেই সকল স্থলে দেশাচার ও কুলধৰ্ম্মানুসারে ক্রিয়া নিম্পন্ন হইতে পারে। কিন্তু দেশাচার বলিয়া জ্ঞানপূর্বক স্ত্ৰীবধ কদাপি সংকৰ্ম্মের মধ্যে গণ্য হইতে পারে না। “ন যাত্র সাক্ষা দ্বিধয়োন নিষেধা: শ্রীতেী স্মৃতে । দেশাচারকুলাচার্যস্তত্ৰ ধৰ্ম্মোনি রূপ্যতে | স্কন্দপুরাণ ৷ শ্রুতি ও স্মৃতিতে যে যে বিষয়ের সাক্ষাৎ বিধি ও নিষেধ নাই, সেই সেই বিষয়ে দেশাচার ও কুলাচার অনুসারে ধৰ্ম্ম নির্বাহ করিবে ।” যদি দেশাচার ও কুলাচার শাস্ত্ৰবিরুদ্ধ হয়, তথাপি উহা কৰ্ত্তব্য, এবং সৎকর্মের মধ্যে গণ্য, এই কথার উত্তরে রামমোহন রায় আরও বলিতেছেন যে, শিবকাঞ্চি ও বিষ্ণুকাঞ্চি এই দুই দেশে পণ্ডিত কি মূর্থ চাতুর্বর্ণ্য লোকের কুলাচার এই যে, বিষ্ণুকাঞ্চিবাসীরা শিবের নিন্দা
