পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্বপুরুষ, মাতা-পিতা ও বাল্যকাল S Gft পর-নাই ভক্তি করিতেন। শুনা যায় যে, তাহার বিষ্ণুভক্তি এত প্ৰবল ছিল যে, তিনি বাটিতে কখন মানভঞ্জন যাত্রা হইতে দিতেন না । শ্ৰীকৃষ্ণ শ্ৰীরাধিকার চরণে ধরিয়া কঁাদিবেন, শিখিপুচ্ছ পীতধড়া ধূলায় লুষ্ঠিত হইবে, “ইহা ভারতের ভাবা ধৰ্ম্মসংস্কারকের চক্ষুশূল ছিল।” কথিত আছে যে, এক সময়ে তিনি ভাগবতেব এক অধ্যায় পাঠ না করিয়া জলগ্ৰহণ করিতেন না । এরূপ গল্প আছে যে, তিনি বহু অর্থ ব্যয়পূর্বক দ্বাবিংশতিবার পুরশ্চরণ করিয়াছিলেন। বাল্যকাল হইতেই তাহার ধৰ্ম্মভাব যার-পর-নাই প্ৰবল ছিল। ১৮২৬ সালে তঁহার বন্ধু উইলয়েম আড্যাম সাহেব তাহার বিষয়ে এইরূপ লিখিয়াছেন যে, চৌদ্দ বৎসর বয়সে সন্ন্যাসী হইয়া গৃহত্যাগ করিবার সংকল্প তাহার প্রবল হয়। র্তাহার মাতার কাতর মিনতিতেই তিনি উহা হইতে নিবৃত্ত হন । বাল্যশিক্ষা ও মত পরিবর্তন ইহা বলা বাহুল্য যে, প্ৰথমে গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় রামমোহন রায়ের বিদ্যারম্ভ হয়। তৎকালে গুরুমহাশয়ের পাঠশালা, ভট্টাচাৰ্য্যের চতুষ্পাঠী এবং মৌলবীদিগের পারসি ও আরবী শিক্ষার স্থান, এই তিন প্ৰকার শিক্ষার স্থান ছিল । শৈশবকালেই তাহার অসাধারণ মেধা ও বুদ্ধিশক্তির পরিচয় পাইয়া গ্রামস্থ লোকেরা আশ্চৰ্য্য হইয়াছিল। তাহার স্মৃতিশক্তি সম্বন্ধে আশ্চৰ্য্য গল্প সকল প্ৰচলিত হইয়াছিল । তিনি পিতৃ-গৃহেই পারস্য ভাষা শিক্ষা আরম্ভ করেন। কিন্তু উক্ত ভাষায় বিশেষ উন্নতি ও আরবী শিক্ষার জন্য, নবম বৎসর বয়সে, রামকান্ত রায় তাহাকে পাটনায় প্রেরণ করেন। তিনি তথায় দুই তিন বৎসর অবস্থিতি করিয়া আরবী ভাষায় ইউক্লিড়াও আরিষ্টটলের গ্রন্থ পাঠ করেন। এই উভয় গ্ৰন্থ পাঠে, তাহার স্বভাবতঃ সুতীক্ষ্ম বুদ্ধিশক্তি বিশেষরূপে