পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত সম্মার্জিত হয়, এবং যে তর্কশক্তি উপধৰ্ম্মনিচয়ের ভিত্তিমূল বিকম্পিত করিয়াছিল, তাহা প্ৰথমে এইরূপেই বিকাশ প্ৰাপ্ত হয়। এমনও বোধ হয় যে, আরবী ভাষায় কোরাণ পাঠ জন্য ও মুসলমান মৌলবীদিগের সংস্রবে। আসাতে, তাহার মনে এই সময়েই একেশ্বরবাদের ভাব প্ৰথমে প্ৰবিষ্ট হইয়াছিল । সুফীদিগের গ্রন্থপাঠে তিনি অত্যন্ত আসক্ত হন । এই আসক্তি যাবজ্জীবন প্রবল ছিল। পরিণত বয়সে, তাহার প্রিয় হাফেজ, মৌলানারুমি, শামী তাব্রিজ প্ৰভৃতি সুফী কবিগণের গ্রন্থ হইতে ভূরি ভুরি কবিতা উৎসাহের সহিত আবৃত্তি করিতেন। সুফীদিগের মত, বেদান্তধৰ্ম্ম ও প্লেটোব মতের অনুরূপ । সুতরাং ইহাও তাহার মতপরিবর্তনেব একটি বিশেষ কাবণ বলিয়া বোধ হয় । উপধৰ্ম্মের প্রতিবাদ ও দেশভ্ৰমণ পাটনাব্য পরাসী ও আরবী শিক্ষা সমাপ্ত হইলে, বিশেষরূপে হিন্দুধৰ্ম্মের মৰ্ম্মজ্ঞ কবিবার উদ্দেশে, রামকান্ত বায় তাহাকে সংস্কৃতশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন জন্য, দ্বাদশ বর্ষ বয়সে, কাশীতে প্রেরণ করেন । তিনি তথায় অল্পকালোব মধ্যে প্ৰাচীন আৰ্য্যশাস্ত্ৰে আশ্চৰ্য্যরূপ জ্ঞান উপাৰ্জন কবেন। গৃহপ্ৰত্যাগমনের পব, তিনি সর্বদাই ধৰ্ম্মসম্বন্ধে চিন্তা করিতেন, এবং তজ্জন্য প্ৰচলিত ধৰ্ম্মের প্রতি সন্দেহ উপস্থিত হইত। প্রথমতঃ মুসলমান শাস্ত্রের একেশ্বরবাদ ও তৎপরে প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্রের ব্ৰহ্মজ্ঞান, এই উভয়ই তাহার মত পরিবর্তনের কারণ বলিয়া বোধ হয়। এই সময়ে পিতা-পুত্ৰে মতভেদ উপস্থিত হইতে লাগিল ৷ মধ্যে মধ্যে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হইত। রামকান্ত রায় পুত্রের ভিন্ন মতি দেখিয়া দুঃখিত ও বিরক্ত হইতে লাগিলেন। বিরক্তির কারণ ক্ৰমে অনেকগুণে বৃদ্ধি হইল। ১৭৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দে আড্যিাম সাহেব লিখিয়াছিলেন যে, রামমোহন রায়