পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৮২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত প্রধান প্ৰধান পণ্ডিতবর্গকে বিচার-যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া, ভাগীরথী তীরে পৌত্তলিকতার দুৰ্ভেদ্য দুর্গ মধ্যে “একমেবাদ্বিতীয়ং” পরমেশ্ববেব বিজয়নিশান উডীন করিয়াছিল, আদ্য ব্ৰিষ্টল নগরে সমবেত মহাপণ্ডিতবর্গ সেই অসাধারণ প্ৰতিভার পরিচয় পাইয়া আশ্চর্য্যে স্তম্ভিত হইলেন । কিন্তু হায় । ইহাই তেঁাহার শেষ কাৰ্য্য ! তাহার সুমহৎ জীবন-নাটকের ইহাই শেয অঙ্ক । কি বলিতেছি । যে আত্মা অনন্ত জ্ঞান, প্ৰেম, পুণ্যের অধিকারী,-অনন্তকাল যে আত্মার পরমায়ু, তাহার কাৰ্য্যেৰ কি শেষ আছে ? ডাক্তার কাপেণ্টার বলিতেছেন ;-পরদিন প্ৰাতঃকালে ( ১৭ই সেপ্টেম্বর ) আমার সহিত র্তাহার ইহজীবনের শেষ দেখা হইয়াছিল। প্ৰাতঃকালে আহার করিতে আসিতে তাহার বিলম্ব হইয়াছিল । তাহাকে দেখিয়া আমি অনুভব করিলাম যে, পূর্বদিনের পরিশ্রম ও উৎসাহে DD LD DBDBD DDDLBDB SS BDD BK DBDBB DDSS BBSBD BBBS তিনি সেদিন বিশ্রাম করেন। তঁহার সম্পূর্ণ বিশ্রামেব সময় যে নিকটবৰ্ত্তী, তাহা তাহার নিজের অন্তঃকরণ ভিন্ন অন্য কেহ তখন মনে করিতে পারিত না । তথাচ মানসিক শক্তি হানির কোন চহ তখন প্ৰকাশ পায় নাই। সেই দিবস সায়াহ্নকালে তিনি তাহাব বন্ধুগণের সহিত এবং এসলিন সাহেবের বুদ্ধিমতী মাতার সহিত ষ্টেপলিটন গ্রোভ ভবনে কয়েক ঘণ্টা কথোপকথন করিয়াছিলেন । ১৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, রাজা জরাক্রান্ত হইলেন । ক্রমেই জর বৃদ্ধি হইতে লাগিল ; ক্ৰমে বিকারে পরিণত হইল। প্রধান প্ৰধান চিকিৎসকগণ অত্যন্ত যত্নসহকারে চিকিৎসা করিলেন । প্ৰাতঃস্মরণীয় হেয়ার সাহেবের ভগিনী কুমারী হেয়ার দিবারাত্র বাজার সেবা করিলেন । কিছুতেই রোগের উপশম হইল না। ১৮৩৩ সালের ২৭ এ। সেপ্টেম্বর