পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৭০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত মূলধৰ্ম্মবিশ্বাসে উপনীত হয় ; অর্থাৎ মনুষ্য তখন বুঝিতে পারে যে, একজন জগতের মূল কারণ ও নিয়ন্ত আছেন এবং সমাজের হিতসাধনই মানুষ্যের কৰ্ত্তব্য বা ধৰ্ম্ম । বিশেষ বিধান তৎপরে রাজা বলিতেছেন যে, বিধাতা অপক্ষপাতী ও সমদর্শী হইয়া জগতের কাৰ্য্য নির্বাহ করিতেছেন। তাহার নিয়ম সকল বিশ্বজনীন । প্ৰাকৃতিক সমুদয় নিয়ম সার্বভৌমিক এবং সকলের প্রতি সমান। যখন বহির্জগতে পরমেশ্বরের কাৰ্য্য-প্ৰণালী এই প্ৰকার, তখন ইহা কখনই স্বীকার করা যায় না যে, তিনি কোন বিশেষ মনোনীত জাতির নিকটে বিশেষ কোন প্ৰতিজ্ঞায় বদ্ধ হইয়া তাহাদিগকে বিশেষ কোন শাস্ত্ৰ প্ৰদান করিয়াছেন। যেমন বহির্জগৎ সম্বন্ধে তিনি বিশ্বজনীন নিয়ম দ্বারা কাৰ্য্য করিতেছেন, সেইরূপ নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়েও তিনি সাধারণ নিয়ম দ্বারাই কাৰ্য্য করেন। বহির্জগতের ন্যায় তিনি অন্তর্জগতেও জ্ঞান ও বিবেকের মধ্য দিয়া নিয়মানুসারে। কাৰ্য্য করিতেছেন । বিশেষ ব্যক্তি বা বিশেষ জাতির জন্য তিনি বিশেষ কোন বিধান করিয়াছেন, রাজা তহ ফাতুল গ্রন্থে এরূপ মত অস্বীকার করিয়াছেন। সেই জন্য রাজা উক্ত গ্রন্থে বলিয়াছেন যে, আমরা স্বাভাবিকরূপে পরমেশ্বরের নিকট হইতে অন্তরে যে জ্ঞানলাভ করি, তাহাই যথেষ্ট । উহার পরিচালনার দ্বারাই মানুষ্যের উন্নতি হয় । উহার পরিচালনার জন্য মনুষ্য দায়ী । মনুষ্য কোন প্রকার অলৌকিক প্ৰণালীতে পরমেশ্বরের নিকট হইতে ধৰ্ম্ম জানিতে পারে, ইহা তিনি বিশ্বাস করিতেন না । সুতরাং রাজা 'শ্ৰীষ্টিয়ান শাস্ত্ৰ, মুসলমান শাস্ত্র এবং হিন্দুশাস্ত্ৰকে অলৌকিক রূপে ঈশ্বর প্রেরিত শাস্ত্ৰ বলিয়া স্বীকার করিতেন না। ঐ সকল শাস্ত্ৰ মনুষ্যের ।