পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২২ মুহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত এরূপ বোধকে অজ্ঞান বা অবিদ্যা বলে, ইহাকে অসম্পূর্ণ জ্ঞানও বল যায়। জগতের জ্ঞান ভ্ৰান্তি মাত্র । উহা স্বপ্নের ন্যায় অথবা বৰ্জ্জুতে সৰ্পজ্ঞানের ন্যায় বলিবাব অভিপ্ৰায় এই যে, যেমন, জীবকে ছাড়িয়া স্বপ্নের ও বজুতে সৰ্পজ্ঞানে ব স্বতন্ত্র সত্তা নাই, সেইরূপ পরমাত্মাকে ছাড়িয়া জগতের স্বতন্ত্র সত্তা নাই । জগতের ব্যাবহারিক সত্তা আছে । জ্ঞানেন্দ্ৰিয় ও কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়দ্বারা বিহিত কৰ্ম্ম করিতে হইবে । যে দ্রব্যেব যাহা গুণ, তদনুসারে। কাৰ্য্য কবিতে হইবে । মুক্তির উপায়,--শমদমাদি সাধন, জ্ঞানালোচনা এবং লোকের হিতসাধন । ংসার ত্যাগ করা উচিত কি না ? এক শ্রেণীর বৈদান্তি কদিগেব মতে, জগৎ, মাতা, পিতা, স্ত্রী-পুত্ৰাদি সকলই মিথ্যা । সুতরাং সংসার পরিত্যাগ করাই কৰ্ত্তব্য । রাজা এ প্রকার মত অগ্ৰাহ কবিয়াছেন । সগুণ ও নিগুণ, কৰ্ম্ম এবং জ্ঞান, বাজা এই উভয়েরই সমান প্ৰয়োজনীয়তা প্ৰতিপাদন করিয়াছেন । বেদ, কোরাণ ও বাইবেলের সাধারণ সত্য কি ? বেদ, কোরাণ ও বাইবেল, এই তিনটি প্ৰধান ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ পাঠ করিয়া বাজা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলেন যে, উক্ত তিন শাস্ত্ৰেই পাবমেশ্বরের একত্ব ও মানুষ্যের প্রতি দয়া, এই দুই মহাসত্যের উপদেশ রহিয়াছে। এক অদ্বিতীয় পরমেশ্বরে বিশ্বাস এবং মানবের হিতসাধন ঐ তিন শাস্ত্রেরই সাধারণ উপদেশ। হিন্দুধৰ্ম্ম, খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম এবং মুসলমানধৰ্ম্ম, এই তিন ধৰ্ম্মের উহা সাধারণ অংশ । একেশ্বরবাদ ও পরোপকার, ঐ তিন শাস্ত্রে, ঐ তিন ধৰ্ম্মেই রহিয়াছে । ইহা ভিন্ন অন্যান্য ধৰ্ম্মে জড়োপাসনা, বহু দেবোপাসনা, পিতৃপুরুষদিগের উপাসনা, পরলোকগত মহাজনাদিগের