পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের বিষয়ে আরও কয়েকটি কথা ৬২৯ বেদান্তদর্শন ও শঙ্করভাষ্যের যে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহাতে র্তাহার মৌলিকত্ব আছে। তাহার ব্যাখ্যা অতি সুন্দর । পণ্ডিতেরা উহার প্ৰশংসা না করিয়া থাকিতে পারেন না । রাজা, কতকগুলি গ্রন্থে বৈষ্ণবাদি, পৌরাণিক, পৌত্তলিক বা অবতারবাদী হিন্দুসম্প্রদায়ের সহিত বিচার করিয়াছেন । এই সকল গ্রন্থে, তিনি BBDS DBDS KgDS SDBBDS BuDuS BB DBDBDB DBD DDBDS এই সকল শাস্ত্ৰ হইতে তিনি গৃহস্থের ব্রহ্মোপাসনার আধিকার প্রতিপন্ন করিয়াছেন । লোকশ্ৰেয়: সাধন যে সনাতন ধৰ্ম্ম, ইহাও তিনি শাস্ত্রীয় প্ৰমাণ সহকারে প্রতিপন্ন করিয়াছেন । অবতারবাদ, দেবপূজা ও পৌত্তলিকতার অধিকারী কে, এবং কোন পৰ্য্যন্ত উহার সীমা, অর্থাৎ লোকে কতদিন পৰ্য্যন্ত প্রতিমা পূজা করিবে, শাস্ত্রানুসারে তিনি তাহার সিদ্ধান্ত করিয়াছেন । তিনি শাস্ত্ৰানুসারে নিঃসংশয়ে প্ৰমাণ করিয়াছেন যে, পৌত্তলিকতা মিথ্যা কল্পনা মাত্র। আমরা বলিয়াছি যে, তিনি হিন্দুশাস্ত্ৰ সকলকে মানিয়া লইয়া শাস্ত্রীয় বিচারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। শাস্ত্ৰ মানিয়া লইলে, যে সকল কথা অবশ্যই মানিয়া লইতে হয়, তাহা তাহাকে স্বীকার করিতে হইয়াছে। যেমন শ্রেষ্ঠ জীব বলিয়া দেবতাদের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন, দেবতাদের অবতার, যেমন বিষ্ণু অবতার রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ ইত্যাদি মানিয়া লইয়াছেন । রাজা বলেন, হিন্দুশাস্ত্রানুসারে পরব্রহ্মের কোন অবতার নাই,-অবতার অসম্ভব। কিন্তু বিষ্ণু প্রভৃতি দেবতার অবতার আছে। তিনি পুরাণ তন্ত্রাদি মানিয়াছেন বটে। কিন্তু ইহাও বলিয়াছেন যে, পরবত্তী লোকে, পুরাণ, তন্ত্র বলিয়া কোন কোন গ্ৰন্থ রচনা করিয়া প্রতারণাপূর্বক ব্যাসাদি ঋষির নামে উহা প্ৰচলিত করিয়াছে। অধিকারিভেদ, অসংস্কৃত মদ্যমাংসের নিষেধ, ভক্ষ্যাভক্ষ্য, শাস্ত্ৰানুসারে সকলই মানিয়া লইয়াছেন। জাতিভেদের অস্তিত্ব