পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের বিষয়ে আরও কয়েকটি কথা।। ৬৬৫ বৰ্ত্তমান ধৰ্ম্মপ্রণালী তাহাদের রাজনৈতিক উন্নতির অনুকুল নহে। জাতিভেদ, আর বিভিন্ন জাতির মধ্যে বিভিন্ন বিভাগ, তাহাদিগকে স্বদেশানুরাগে (Patriotism) বঞ্চিত করিয়াছে। ইহা ভিন্ন বহুসংখ্যক বাহ ধৰ্ম্মানুষ্ঠান ও প্ৰায়শ্চিত্তের বহুপ্রকার ব্যবস্থা থাকাতে র্তাহাদিগকে কোন গুরুতর কাৰ্য্যসাধনে সম্পূর্ণ অশক্ত করিয়াছে। আমার বিবেচনায় তঁহাদের ধৰ্ম্মে কোন পরিবর্তন উপস্থিত হওয়া আবশ্যক । অন্ততঃ তাহাদের রাজনৈতিক সুবিধা ও সামাজিক সুখ সচ্ছন্দতার জন্যও ধৰ্ম্মের পরিবর্তন আবশ্যক।” নবম ;-হিন্দুগণ, বিশেষতঃ বাঙ্গালীজাতি, অর্থে পার্জনের জন্য গৃহ পরিত্যাগ করিয়া, বিদেশ গমন না করাতে দরিদ্রতাবৃদ্ধি। এ বিষয়ে রাজার সময়ে দেশের অবস্থা যেরূপ ছিল, এখন সেরূপ নাই। এখন লোকে অর্থে পাৰ্জনের জন্য বিদেশ যাইতে শিক্ষা করিয়াছে। এ বিষয়ে অনেক উন্নতি লক্ষিত হইতেছে। দশম ;-সমুদ্রযাত্রা নিষিদ্ধ বলিয়া, অন্য দেশ ভ্রমণ না করাতে এবং অন্যান্য জাতির সহিত বাণিজ্য না থাকাতে, দেশের অনিষ্ট হইতেছে। বাজা এ বিষয়ে কেবল লেখনী চালনা করিয়াছিলেন এমন নহে, তিনি দেশব্যাপী কুসংস্কারকে পদবিন্দলিত করিয়া নিজে বিলাত গমনের দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিয়া গিয়াছেন । দেশভ্ৰমণ বিষয়ে কিছু উন্নতি হইয়াছে বটে, কিন্তু বিদেশীয় জাতির সহিত বাণিজ্য বিষয়ে কোন উন্নতি লক্ষিত হইতেছে না । একাদশ ;-রাজা লিখিয়াছেন যে, চিরবৈধব্য প্রথার জন্য দেশে পাপস্রোত প্ৰবাহিত হইতেছে। এ বিষয়ে অতি অল্পই উন্নতি দেখা যাইতেছে। হিন্দুসমাজে বিধবাবিবাহ প্রচারে বিদ্যাসাগর মহাশয় । क्लङकार्थ] श्न नाडे ।