পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা বামমোহন রায়ের বিষয়ে আরও কয়েকটি কথা ৬৭৩ রাজ্য, একজন রাজার অধীন হইলেও, আইন প্ৰস্তুত করিবার ক্ষমতা এমন কতকগুলি লোকের হস্তে থাকা উচিত, যাহারা সাধারণ প্রজাবর্গের প্ৰতিনিধি। এই প্ৰকার প্রতিনিধি-প্ৰণালীর যতই উন্নতি হয়, ততই BBBBDBB BDBDBBD SS S BDDBDDDBBDB DDD DDDDBDS DBDD BDD DBDBBB DBDS তাহা হইলে শাসনপ্ৰণালী কিরূপ হইল, তাহ দেখিবার তত প্ৰয়োজন থাকে না । রাজ্যের শীর্ষস্থানে একজন ব্যক্তি অথবা একাধিক ব্যক্তি রহিয়াছেন, তাহা দেখা তত প্ৰয়োজনীয় নহে। যদি ব্যবস্থা প্ৰণয়নবিভাগ রাজ্যশাসনবিভাগ, এবং বিচারবিভাগ স্বতন্ত্র থাকে, এবং ব্যবস্থাপকগণ প্ৰজাদিগের প্রতিনিধি হন, তাহা হইলেই রাজশাসনের যাহা উদ্দেশ্য ऊाश्। अश्न श्ल। উপরি-উক্ত মত সকল অধুনাতন কালের উচ্চতম চিন্তাশীল পণ্ডিতৃগণের প্রগাঢ় চিন্তার ফল। কি আশ্চৰ্য্য! রাজা রামমোহন রায় তাহাদের বহু পূর্বে এ সকল মত বা রাজনৈতিক তত্ত্ব সুস্পষ্ট ভাষায় প্ৰকাশ করিয়া গিয়াছেন । ইহাকেই বলে অসাধারণ প্ৰতিভা ! ব্ৰাহ্মণ ও ক্ষত্ৰিয়ের কাৰ্য্যবিভাগ প্ৰাচীনকালে, প্ৰায় দুই সহস্ৰ বৎসর পর্য্যন্ত ব্ৰাহ্মণের বিধিপ্রণয়ন করিতেন এবং ক্ষত্ৰিয়ের তদনুসারে কাৰ্য্য করিতেন ; অর্থাৎ ঐ সকল বিধিদ্বারা প্ৰজা পালন ও রাজ্যশাসন করিতেন। এই প্ৰণালী দ্বারা সুন্দররূপে কাৰ্য্য চলিয়াছিল । ব্যবস্থা প্ৰণয়ন ও রাজ কাৰ্য্যনিৰ্বাহ, এই উভয় অধিকার একস্থানে বদ্ধ ছিল না । ব্ৰাহ্মণের স্বাধীনতা লোপ এরূপ ঘটিল যে, ব্ৰাহ্মণের ক্ষত্ৰিয় রাজাদিগের অধীনে কৰ্ম্মস্বীকার করিলেন । ব্ৰাহ্মণের ক্ষত্ৰিয়ের ভৃত্য হইলেন । যাহারা ব্যবস্থাপক 43