পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় ~-n 6 am-~- বেদান্ত ও বেদান্তসূত্রের ভাষ্যপ্রকাশ। ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার শাস্ত্রীয় প্রমাণ [ ১৮১৬-১৮১৭ সাল ] রামমোহন রায় দেখিলেন যে, পুস্তক প্রচার, সত্যপ্ৰচাবের একটি প্ৰকৃষ্ট উপায়। অতএব তিনি ক্ৰমে ক্ৰমে ব্রহ্মজ্ঞান প্ৰতিপাদক গ্ৰন্থ সকল নিজ ব্যয়ে মুদ্রিত করিয়া বিনামূল্যে বিতরণ করিতে লাগিলেন। তিনি প্ৰথমে, ১৭৩৭ শকে, বাঙ্গালা ভাষায় বেদান্তসুত্রেব ভাষ্য প্ৰকাশ করিলেন । রাজা রামমোহন রায়ের গ্রন্থপ্রকাশক, উক্ত গ্রন্থের বিষয়ে বলিয়াছেন ;-“ইহার অন্য নাম ব্ৰহ্মসুত্ৰ, শাৰীরিক মীমাংসা বা শারীরিক সুত্র। যাগ-যজ্ঞাদি কৰ্ম্মসমাপুত এই ভারতবর্ষে যদবধি ব্ৰহ্মজ্ঞান উদয় হইয়াছে, তদবধি আৰ্য্যদিগের মধ্যে ঐ কৰ্ম্ম ও জ্ঞানসম্বন্ধে একটি বাদানুবাদ চলিয়া আসিতেছে। ঋষিগণ ঐ দুই বিষয়ের বিস্তর বিচার করিয়া গিয়াছেন। কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস ব্ৰহ্মজ্ঞানপক্ষীয় ছিলেন । তিনি যে সকল বিচার করিয়াছিলেন, প্ৰচলিত ব্যাকরণের সুত্রের ন্যায় তিনি ঐ সকল বিচারোদ্বোধিক কতকগুলি সুত্র রচনা করিয়া যান। বহুকালের পর, শ্ৰীমৎ শঙ্করাচাৰ্য্য সেই সকল সূত্রের অন্তনিহিত তাৎপৰ্য্য ব্যাখ্যা পূর্বক, ব্ৰহ্মতত্ত্ব ও ব্রহ্মোপাসনার উপদেশ পণ্ডিতমণ্ডলী-মধ্যে প্রচার করেন। ঐ সকল সুত্রে এবং শঙ্করাচাৰ্য্য কৃত তাহার ব্যাখ্যানে বা ভায্যে বেদব্যাসের সমস্ত ব্ৰহ্মবিচার প্রাপ্ত হওয়া যায় ।