পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত ও বেদান্তসূত্রের ভাষ্যপ্ৰকাশ 8Գ না। সে যুবা হইলে, যে কোন পদার্থকে সম্মুখে দেখিবে, তাহাকেই পিতা বলিয়া গ্ৰহণ করিবে, এরূপ হইতে পারে না । সে যদি পিতার উদ্দেশ্যে কোন ক্রিয়া করে, অথবা পিতার মঙ্গল প্রার্থনা করে, তবে সে সময়ে সে ব্যক্তি বলিবে যে, যিনি জন্মদাতা, তাহার শ্রেয়ঃ হউক । সেইরূপ, ব্ৰহ্মের স্বরূপ জ্ঞেয় না হইলেও জগতের স্রষ্টা, পাতা, সংহৰ্ত্তারূপে র্তাহার উপাসনা করা যাইতে পারে । চন্দ্ৰ সূৰ্য্য প্ৰভৃতি যে সকল পদার্থ আমরা সর্বদা দেখিতেছি ও যন্দ্বারা আমাদের জীবনের কাৰ্য্য সম্পন্ন হইতেছে, সে সকলেরও যথার্থ স্বরূপ জানিতে পারি না । সুতরাং যে পরমেশ্বর ইন্দ্ৰিয়ের অগোচর, তাহার প্রকৃতস্বরূপ কিরূপে জানা যাইতে পারে ? কিন্তু জগতের নানাবিধ রচনা ও নিয়ম সকল দেখিয়া পরমেশ্বরকে কৰ্ত্তা ও নিয়ন্তারূপে নিশ্চয় জানা যায়, এবং এইরূপেই র্তাহার উপাসনাবিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হওয়া সম্ভব। সামান্য বিবেচনায় বুঝাঁ যায় যে, যিনি এই দুরবগাহ নানাপ্রকার কৌশলবিশিষ্ট জগতের কৰ্ত্তা, তিনি এই জগৎ অপেক্ষা অবশ্য অধিকতর ব্যাপক ও শক্তিমান হইবেন। এই জগতের একটি অংশ কিম্বা ইহার অন্তৰ্গত কোনও বস্তু এজগতের “কৰ্ত্তা কিরূপে হইতে পারে ? র্যাহারা বলেন যে, নিরাকার - ঈশ্বরের উপাসনা কোনও মতে হইতে পারে না, তাহদের কথার উত্তরে রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, স্বজাতীয় বিজাতীয় অনেক লোকই নিরাকার ঈশ্বরের উপাসনা করিতেছেন, যখন ইহা প্ৰত্যক্ষ দেখা যাইতেছে, তখন কেমন করিয়া বলা যাইতে পারে যে, নিরাকার ঈশ্বরের উপাসনা কোনও ক্রমেই হইতে পারে না ? * al ന്ത്രം -ത്ത്വബ് --- تم خط* شصتسه -تست.

  • */ রাজনারায়ণ বসু দ্বারা প্ৰকাশিত রামমোহন রায় প্রণীত গ্ৰন্থাবলীর প্রথম tes3 TAG e 7 ibi cwN