পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b- মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত পূর্বপুরুষ ও আত্মীয়গণের মতের বিরুদ্ধাচরণ করা কীৰ্ত্তব্য কি না ? দ্বিতীয়তঃ,-সাকারবাদীদিগের আর একটি আপত্তি এই যে, পিতা, পিতামহ এবং স্ববর্গেরা যে মত অবম্বন করিয়াছেন, তাহার বিপরীত আচরণ করা কখনই উচিত নহে। রাজা রামমোহন রায় এই কথার উত্তরে বলিতেছেন যে, পূৰ্বপুরুষ ও স্ববর্গের প্রতি লোকের অত্যন্ত স্নেহ ; সুতরাং পূর্বাপর বিবেচনা না করিয়া ঐ কথাটিকে প্রমাণস্বরূপ গ্ৰহণ করিয়া থাকেন। এ কথার সাধারণ উত্তর এই যে, পশুরাই স্বজাতীয় পশুর ক্রিয়ানুসারে। কাৰ্য্য করিয়া থাকে। মানুষ্যের সৎ অসৎ। বিচারবুদ্ধি আছে । মানুষ কিরূপে ক্রিয়ার দোষ-গুণ বিবেচনা না করিয়া কেবল স্বজনেরা করেন বলিয়া ধৰ্ম্ম কাৰ্য্য নির্বাহ করিতে পারেন ? যদি সকল স্থানে ও সকল কালে এই মত প্ৰচলিত থাকিত, তাহা হইলে হিন্দুজাতির মধ্যে ধৰ্ম্মবিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত উৎপন্ন হইতে পারিত না । বিশেষতঃ দেখা যাইতেছে যে, একজন বৈষ্ণবকুলে জন্মগ্ৰহণ করিয়া শাক্ত হইতেছে, আর এক ব্যক্তি, শাক্তবংশে জন্মগ্রহণ, করিয়া বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিতেছে ; পৈতৃক মতেই বদ্ধ হইয়া থাকিতেছে না। এখনও একশত বৎসর অতীত হয় নাই, স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য নূতন ব্যবস্থা প্ৰচলিত করিয়া গিয়াছেন । যাবতীয় পরমার্থ কৰ্ম্ম, স্নান দান ব্ৰতোপবাস প্রভৃতি পূৰ্বমত হইতে ভিন্ন, নূতন মতে সম্পন্ন হইতেছে। লোকে পৈতৃক আচরণ পরিত্যাগ না করিলে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্যোর নূতন ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে পারিতেন না। সকলে বলেন যে, পঞ্চব্ৰাহ্মণ যে সময়ে এ দেশে আসেন, তাহদের পায়ে মোজা এবং গায়ে জামা ইত্যাদি ছিল এবং তঁাহারা গো-যানে আরোহণ করিয়া