পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত। তৃতীয়তঃ, এদেশে পুরাণ সকলের প্রায় পরম্পরা প্রচার নাই এবং সুলভ সংস্কৃতে অনায়াসে পুরাণের ন্যায় বচনের রচনা হইতে পারে। এই সুবিধা পাইয়া এতদেশীয় বৈষ্ণবেরা যেমন শ্ৰীভাগবতকে বেদান্তসূত্রের ভাষ্য বলিয়া প্ৰমাণ করিবার নিমিত্ত গরুড়পুরাণের বচনের রচনা করিয়াছেন, আর দুই তিন শত বৎসর মধ্যে যাহাঁদের জন্ম এবং র্যাহারা অন্য দেশে অপ্ৰসিদ্ধ, এমন नूर्ध्ना নূতন ব্যক্তিকে অবতার বলিয়া প্রতিপন্ন করিবার নিমিত্ত, ভবিষ্য ও পদ্মপুরাণের বচন বলিয়া কল্পিত বচন সকল লিথিয়াছেন, সেইরূপ, কোন কোন শাক্ত শ্ৰীভাগবতকে পুরাণ বলিয়া অপ্ৰমাণ করিবার জন্য এবং কালীপুরাণকে প্ৰকৃত ভাগবতরূপে স্থাপন করিবার উদ্দেশ্যে স্কন্দপুরাণীয় বচন প্ৰকাশ করিয়াছেন। সেই বচন હરે;- ভগবত্যাঃ কালিকায়া মাহাত্ম্যং যত্র বর্ণ্যতে। নানাদৈত্যবধোপেতং তদ্বৈং ভাগবতং বিদুঃ। কলৌ কেচিদ্দুরাত্মানাে ধূৰ্ত্ত বৈষ্ণবমানিন: | अछुट्ठा?ाषउ९ नाभ रुझझिषछि भानदाः । যে গ্রন্থে নানা অনুর বধের সহিত ভগবতী কালিকার মাহাত্ম্য বর্ণিত হইয়াছে, তাহাকেই ভাগবত বলিয়া জানিবে। কলিযুগে বৈষ্ণবাভিমানী ধূৰ্ত্ত দুরাত্মা লোক সকল ভগবতীর মাহাত্ম্যযুক্ত গ্ৰন্থকে ভাগবত না বলিয়া অন্য ভাগবত কল্পনা করিবে । অতএব, পূর্ব পুৰ্ব্ব গ্ৰন্থকারের অধৃত বচন সকলকে শুনিবা মাত্র যদি পুরাণ বলিয়া মান্য করা যায়, তাহা হইলে পূর্বের লিখিত বৈষ্ণবের রচিত বচন এবং ঐক্লপ শক্তের রচিত বচন, এ দুয়ের পরস্পর বিরোধ হইয় শাস্ত্রের অপ্রামাণ্য, অর্থের অনির্ণয় এবং ধৰ্ম্মের লোপ উপস্থিত হয়। BBDS D DDBD KBBDDD DBBB DDBBD DD D DDSES