পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাদ্রি সাহেবের সহিত বিচার। እ ዓN9 যাহা হইলে উহা কেবল বেদান্তের দোষ নহে, প্রচলিত সকল ধৰ্ম্মই ঐ দোষে দোষী। ইহা ভিন্ন বেদান্তদর্শনে, কি অন্য মতে, গুণ অপেক্ষা গুণাধার পদার্থের শ্রেষ্ঠতা সকলেই স্বীকার করেন। বেদান্তদর্শন, ব্ৰহ্ম ও মায়া উভয়ের সমান প্রাধান্য কখনই স্বীকার করেন না। মায়া, পরমাত্মার উপরে। কাৰ্য্য করে, রামমোহন রায় একথা স্বীকার করেন নাই। মায়া তাঁহারই শক্তি, তঁহারই ক্রিয়া। তিনি যেমন তাহার। দয়া গুণে জীবের কল্যাণ করেন, সেইরূপ, তাহার শক্তি বা মায়াদ্বারা সৃষ্টি, স্থিতি, প্ৰলয় করেন। ব্ৰহ্ম ও জীব যখন এক, তখন জীব একাকী কেন কৰ্ম্মফল ভোগ করে ? বেদান্তদর্শনের বিরুদ্ধে পাদ্রিসাহেব এই দ্বিতীয় আপত্তি করেন যে, বেদান্তমতে জীবাত্মা ও পরমাত্মা এক। বেদান্তে অদ্বৈতবাদ সমর্থিত হইয়াছে। জীব এবং ব্ৰহ্ম যখন এক, তখন এক জীব কেন কৰ্ম্মফল, ভোগ করিবে ? পরমাত্মার কৰ্ম্মফলভোগ অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে। বামমোহন রায় ইহার যে উত্তর দিয়াছেন, তাহার সারমর্ম এই ;-যেমন, অনেকগুলি সরাতে জল রাখিলে, এক সুৰ্য্যের অনেক প্ৰতিবিম্ব দেখা যায়, সেইরূপ, চৈতন্যস্বরূপ পরমাত্মা জড়ম্বরূপ নানা প্ৰপঞ্চে প্ৰতিবিন্বিত ইয়াছেন। সরার জল কম্পিত হইলে প্ৰতিবিম্ব কম্পিত বলিয়া অনুভূত ইয়, কিন্তু জলের কম্পনে সুৰ্য্য কম্পিত হন না ; সেইপ্ৰকার, জীব সকল, চৈতন্যস্বরূপ পরমাত্মার প্রতিবিম্ব বলিয়া জীবের হিতাহিত বােধ পরমেশ্বরকে "াশ করে না। জলের নিৰ্ম্মলতা বশতঃ কোন কোন প্ৰতিবিম্ব স্বচ্ছ ষ্টি হয়, ও জলের মলিনতা জন্য কোন কোন প্রতিবিম্ব মলিন & সেইরূপ প্রপঞ্চমীয় শরীরে ইন্দ্ৰিয়াদির স্মৃত্ত্বির দ্বারা কোন কোন জীবের