পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরও কয়েকখানি গ্ৰন্থপ্ৰকাশ । Rład যথোক্তন্যপি কৰ্ম্মাণি পরিহায় দ্বিজোত্তমঃ। আত্মজ্ঞানে শমে চ স্যাম্বেদাভ্যাসে চ যত্নবান৷ পূৰ্বোক্ত কৰ্ম্ম সকলকে পরিত্যাগ করিয়াও ব্রাহ্মণ পরব্রহ্মচিন্তানে, DBBDDDSD KKBD BBDD DBBDB DD DBBB “গায়ত্র্যাপারমোপাসনাবিধানং ।” এই পুস্তক ১৭৪৯ শকে, (১৮২৭ খ্ৰীঃ অঃ) প্ৰকাশিত হয়। এই পুস্তকের মৰ্ম্ম এই যে, বেদপাঠ ব্যতীত কেবল গায়ত্রীজপদ্বারা ব্রহ্মোপাসনা হয়। ইহাতে অনেক শাস্ত্রীয় প্রমাণ প্রদত্ত হইয়াছে। ইহা সংস্কৃত বাঙ্গালী উভয় ভাষায় লিখিত, এবং উক্ত খ্ৰীষ্টাব্দে ইহার একটি ইংরেজী অনুবাদও প্ৰকাশ হইয়াছিল। গায়ত্রীর মধ্যে তিনটি মন্ত্র। রাজা এই তিন মন্ত্রের অর্থ পৃথক পৃথক করিয়া প্ৰকাশ করিয়াছেন। আদি মন্ত্র ওঁ । এই শব্দে জগতের সৃষ্টি, স্থিতি, লয়ের কারণ পরব্রহ্মকে নির্দেশ করা হইতেছে। ওঁকারের প্রতিপাদ্য যিনি, তিনি এই সকল জগৎকাৰ্য্য হইতে পৃথকরূপে স্থিতি করেন না, ইহাই প্ৰদৰ্শন করিবার জন্য, পরে বলা হইতেছে ভূভূবঃ স্বঃ ইহাই দ্বিতীয় মন্ত্র। এই দ্বিতীয় মন্ত্রের তাৎপৰ্য্য এই যে, কারণরূপ পরব্রহ্ম ত্ৰিলোক বিশ্বকে ব্যাপিয়া রহিয়াছেন। "তৎ সবিতুৰ্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্ত ধীমহি ধিয়োয়োন: প্ৰচোদয়াৎ” এই তৃতীয় মন্ত্ৰ। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, “দীপ্তিমন্ত সুৰ্য্যের সেই অনিৰ্ব্বচনীয় অন্তৰ্যামী জ্যোতিঃস্বরূপ বিশেষ মতে প্ৰাৰ্থনীয় ; তঁহাকে আমরা চিন্তা করি। তিনি কেবল সুধোেৱ অন্তৰ্যামী হন। এমত নহে, কিন্তু যে সেই স্বপ্রকাশ আমাদের সর্বদেহীম ২ অন্তঃস্থিত, অন্তৰ্যামী হইয়া বুদ্ধিবৃত্তিকে বিষয়ে প্রেরণ করিতেছেন।” এই তিন মন্ত্রের প্রতিপাদ্য এক পরব্রহ্ম। সেই জন্য, এই তিন