পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজনারায়ণ বসু সময় বহু দূর অতিক্রম করিয়া যাইত । রাজনারায়ণবাবুর পিতা তঁহার পুত্রের অমিতাচার লক্ষ্য করিয়া অন্তরে বড় ব্যথা পাইলেন । পুত্রকে সংযত জীবনের দিকে ফিরাইয়া আনিতে র্তাহার বাগ্রতার সীমা রহিল না । একদিন পুত্ৰকে কক্ষে ডাকিয়া আনিলেন। আলমারী খুলিয়া একটি মদের বোতল বাহির করিয়া তীহাকে এক গ্লাস মদ দিয়া তাহার সম্মুখেই পান করিতে বললেন । পরে সস্নেহে বলিলেন-বাবা, তুমি সব সময় আমার সঙ্গে বসেই মদ্যপান করো-এতে আমি কিছুই মনে করব না । কিন্তু কথা দাও যে বন্ধুদের আডিডায় বসে তুমি অপরিমিত মদ্য পান করবে না। মদ্যপান আমি অন্যায় মনে করিনে, কিন্তু সংযমহীন জীবনযাত্রাকে অবশ্যই ঘূণা করি। পুত্রের রক্তে তখন প্ৰাণপ্রাচুর্য্যের উত্তাল তরঙ্গ, পিতার নীতিবাক্য তারুণ্যের গতিবেগে কোন সুদূরে ভাসিয়া গেল। বন্ধুদের সাহচর্য্যে রাজনারায়ণের অপরিমিত মদ্যপান উত্তরোত্তর বুদ্ধি পাইতে থাকে। উত্তরকালে তিনি যখন মেদিনীপুর উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, তখনও তিনি অতিরিক্ত মদ্যপান করিতেন । এমনিতেই তেঁাহার স্বাস্থ্য তেমন ভাল ছিল না। তদুপরি অপরিমিত মদ্যপান ও দায়িত্বের গুরুভারে।--আল্পকাল মধ্যে র্তাহার স্বাস্থ্য না ভাঙ্গিয়া পারে নাই। ফলে, নিৰ্দ্ধারিত সময়ের পূর্বেই তিনি চাকুরী হইতে অবসর গ্ৰহণ Vo