পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে ইংরেজি ভাষাই ব্যবহৃত হইত। শিক্ষিত বাঙ্গালীরা ইংরেজির মাধ্যমে কথাবাৰ্ত্তা বলিতেন ও সভাসমিতিতেইংরেজিতেই বক্তৃতা দেওয়া হইত । বাংলা ভাষা তখন ছিল নিরক্ষর সমাজে ও মহিলাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। রাজনারায়ণবাবু তখন বন্ধুদের বলিলেন—তোমাদের সভায় যদি বাংলায় রচনাপাঠ অনুমোদন কর, তবেই আমি কিছু বলতে পারি, নতুবা নয়।—এ কথা শুনিয়া বন্ধুরা তো অবাক । অনেকে বিদ্রুপ করিলেন, কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী বন্ধু কহিলেন-রাজনারায়ণ, বলতে তোমার মাথায় এ অদ্ভুত খেয়াল এলো কি করে ? সখি করে কেন এমন দুণাম কুড়াবে, তার চেয়ে ইংরেজিতে প্ৰবন্ধ রচনা করেই পাঠ কর । রাজনারায়ণবাবু কোন বাদ প্ৰতিবাদ করিলেন না, কিন্তু তাহার মত পরিবর্তনেরও বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখা গেল না । যথাসময়ে সভার কার্য্যসূচী অনুযায়ী বক্তারূপে তাহার নাম ঘোষণা করা হইল । উপস্থিত সভ্যোরা তে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করিয়া আছেন ; কেহ কেহ আবার হাস্যকর দৃশ্যের অবতারণা হইবে, এ আশঙ্কায় সভাকক্ষই ত্যাগ করিয়া গেলেন । সেযুগে রাজনারায়ণবাবুর এ অভিনব প্রচেষ্টা দুঃসাহসেরই পরিচয় দিয়াছিল । প্ৰকাশ্য সভায় বাংলাভাষায় বক্তৃতা দান বা রচনাপাঠের কথা ইতিপূর্বে কোন শিক্ষিত বাঙ্গালী চিন্তাই করিতে পারিতেন না । কিন্তু তাহার এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রাজা রামমোহন রায়, অক্ষয় কুমার দত্ত, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ დაMტ