পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

एतान्नtमन | ১৮৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দের আগষ্ট মাস। ব্ৰহ্মবান্ধব কেশব সেনের পৌরোহিত্যে ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্ম মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে আমি ও আনন্দমোহন বসু ঘটনাচক্ৰে এক সঙ্গে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত হই । ঠিক দীক্ষার দিনেই পরস্পরের এ পরিচয় যেন আমার নিকট বিশেষ অর্থপূর্ণ বলিয়া বোধ হইল। ধৰ্ম্ম সাক্ষা করিয়া সেদিন আমাদের দুইজনের মধ্যে যে সম্পর্ক স্থাপিত হইল উত্তর কালে কোন অবস্থাতেই তাহ ছিন্ন হয় নাই । আমি তখন ব্ৰাহ্ম সমাজের একজন বিশেষ উৎসাহী কৰ্ম্মী, আনন্দমোহনের ও কৰ্ম্মোদ্যমের অন্ত নাই। র্তাহার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসিয়া লক্ষ্য করিলাম, এই অল্প বয়সেই তাহার কি গভীর ধৰ্ম্মনিষ্ঠ। ধৰ্ম্মের প্রতি র্তাহার এই অসীম অনুরাগই আমাকে তঁহার সহিত চিরবন্ধনে বাধিয়া ফেলে । ফলে, তিনি আমার পরম প্ৰিয় না হইয়া পারেন নাই । বয়সের দিক দিয়া ও অবশ্য তিনি এবং আমি সমবয়সী ছিলাম । সমবয়সের আকর্ষণ ও সমািধস্মিতার ফলে আমরা পরস্পরকে যেন ক্রমেই দৃঢ়ভাবে আকড়াইয়া ধরিলাম । দীক্ষা গ্রহণের মাত্র কয়েক মাস পরেই অনন্দমোহন প্ৰেমচাদ রায়চাঁদ বৃত্তিলাভ করেন এবং ইংল্যাণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করিবার উদ্দেশ্যে কেশব সেনের সহিত ইংলণ্ড যাত্রা করেন। বিদেশে তাহার চার বৎসর অতিবাহিত হয় এবং এই ৷ সময়ের মধ্যে ব্ৰাহ্ম সমাজের মধ্যে যে আলোড়ন ও সংঘাত 8