পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে প্ৰেমমধুর চরিত্র বড় বেশী দেখি নাই । তঁহার প্রেমের সম্পর্শে র্তাহার গৃহটি যেন স্বৰ্গে পরিণত হইয়াছিল। আনন্দমোহনের পারিবারিক জীবনের মাধুৰ্য্য আমাদের আলোচনার বস্তু ছিল, অনুকরণীয় বলিয়া ও উহাকে আমরা মনে করিতাম । কোট হইতে ফিরিয়াই প্ৰতিদিন তিনি জননীর কক্ষে প্রবেশ করিতেন। বৃদ্ধ। তখন হয়ত নিঃশব্দে হরিনামের মালা জপ করিতেছেন। গায়ের কোটটি খুলিয়। সেই অবস্থায় পুত্ৰ মায়ের কোলে কিছুকাল চুপ করিয়া শুইয়া থাকিতেন। হরিনামের মালা রাখিয়া দিয়া জননী যতক্ষণ না আদর করিয়৷ উঠিতে বলিতেন, ততক্ষণ এমনি ভাবেই পড়িয়া না থাকিয়৷ আনন্দমোহন ছাড়িতেন না। এই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুৰুষের অন্তরের অন্তস্তলে ছিল একটি মাতৃভক্ত অবোধ শিশু, মাতৃস্নেহ সিঞ্চনে যাহা সুসুিগ্ধ হইয়া উঠিত। পরিণত বয়স পৰ্য্যন্ত মাতাপুত্রের মধ্যে এমন মধুর সম্পর্ক বজায় থাকিতে আমি আর কখনো দেখি নাই । এই প্রসঙ্গে আনন্দমোহনের মাতৃদেবীর সম্পর্কে কয়েকটি কথা লিখিবার লোভ সম্বরণ করতে পারিলাম না। উনবিংশ শতাব্দীর শেষাদ্ধে ভারতের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের ব্ৰত লইয়। বহু প্ৰতিভাধর বঙ্গসন্তান অগ্রসর হন । তাহারা প্ৰত্যেকেই এই মহাব্ৰত উদযাপনের অনুপ্রেরণা পান। তঁহাদের মাতা, পত্নী প্রভৃতির নিকট হইতে। সে যুগের ধৰ্ম্মনিষ্ঠা, ভক্তিমতী নারীরা ছিলেন ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্ৰ। আনন্দমোহনের মাতা Ꮌ Ꮌ 8