আনন্দমোহন বসু দীর্ঘকালের মধ্যে উঠিবার সম্ভাবনা থাকিত না এবং ভূত্যকে ডাকিবোরও প্রয়োজন হইত না, একথা চিন্তা করিয়াই সে উৎফুল্ল হইয়া উঠিত। ভূতাটির এই কৰ্ম্মবিমুখত আনন্দমোহনের পক্ষে বড়ই সুবিধাজনক হইয়াছিল । आनन्नाभाश्न এত বিনয়ী ছিলেন যে, অপরের সম্মুখে ত দূরের কথা স্ত্রী পুত্রের সম্মুখে ও উপাসনাবাণী পাঠ করিতে লজিত হইয়া পড়িতেন। কিন্তু তাই বলিয়া ধৰ্ম্ম সম্পর্কে তঁহার ঔদাসীন্য ছিল একথা যেন কেহ মনে না করেন । আমি যখন প্ৰত্যেক গৃহে পারিবারিক যৌথ প্রার্থনার আন্দোলন করি সে সময় আনন্দমোহন ছিলেন ইহার বড় সমর্থক । তিনি বলিতেন, প্ৰত্যেক গৃহে একখানি প্রার্থনাগ্ৰস্থ থাকা আবশ্যক, তাহা হইলে প্ৰত্যেকে কিছু কিছু করিয়া উহা পাঠ করিতে পারে । ব্ৰাহ্মা মন্দিরে উপাসনা কালে লক্ষ্য করিয়াছি, আনন্দমোহন যুক্ত করে সাশ্যনেত্ৰে অকম্পিত দেহে নিজ আসনে সমাসীন । কোন কোন দিন প্রার্থনাবাণী শুনিয়া তিনি এতই মুগ্ধ হইতেন যে প্রার্থনা শেষে ভাববিহবল চিত্তে আমায় ख्क्षपुछाशेश। १झि८ङन । আনন্দমোহনের কৰ্ম্মমুখর জীবনে আত্ম-প্রচার ছিল না । কিন্তু মাঝে মাঝে আমার সহিত একান্তে কথাবাৰ্ত্তার মধ্যে র্তাহার মনের দুয়ার খুলিয়া যাইত। একদিন আমি তাহার অনলস কৰ্ম্ম সম্পর্কে উচ্ছসিত প্ৰশংসা করিতেছি । আনন্দ እxoዓ