পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে এ সন্ন্যাসীগণ নিজ নিজ আধ্যাত্মিক আদর্শ ও সাধন জীবনের অভিজ্ঞতা হইতে যে যে পন্থাকে ব্ৰহ্মপ্ৰাপ্তির সহায়ক বলিয়া বলিতেন, বিশ্বাসাবান রামকৃষ্ণ সেই সেই ভাবকে অবলম্বন করিয়া তখনই সাধনা আরম্ভ করিয়া দিতেন । একবার এক সন্ন্যাসী তীহাকে বলেন যে, ঈশ্বরে পরিপূর্ণ নির্ভরতা আনিতে হইলে ভক্ত হনুমানের ভাব অবলম্বন বিশেষ কাৰ্য্যকারী । রামায়ণে দেখা যায়, হনুমানের জীবনে রাম ব্যতীত অন্য কোন চিন্তার স্থান নাই-পরিপূর্ণ আত্মনিবেদনেই এই ভাব সম্ভব। একথা শুনিবা মাত্র রামকৃষ্ণ হনুমানের ভাবে সাধনা আরম্ভ করিলেন । একাদিক্ৰমে কয়েকদিন তিনি কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন না। নিজের মধ্যে হনুমানের ভাবটি আরোপ করিলেন এবং ইহার পর তিনি সম্পূর্ণরূপে উক্ত ভাবে ভাবান্বিত হইয়া পড়িলেন। এ সময়ে হনুমানের মত একটি লেজ নিজ দেহে সংযোজন করিয়া কক্ষ মধ্যে লাফালাফি করিতেও ছাড়েন নাই। মুখে তখন তঁহার শুধু এক কথা-ঈশ্বর, আমি তোমার একান্ত অনুগত ভৃত্য। আমায় তুমি কৃপা কর। শ্ৰীরামকৃষ্ণের বহুবিচিত্ৰ সাধনার মধ্যে হনুমানের দাস্যভাবের সাধনাই শুধু নয়। এরূপ আরও নানা পদ্ধতি লইয়া তিনি বহু সময় মত্ত থাকিতেন। এক সময় একজন সাধক তঁহাকে বলেন যে, নিজেকে দীনাতিদীন ভাবিতে থাকিলে ক্ৰমে মন হইতে সকল প্রকার S 8}ፖ