পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ পরমহংস কথায় বাধা দিয়া আমি অসহিষ্ণুভাবে বলিলাম-আধ্যাত্মিক জীবনের ক্ষেত্রে নারী জাতি গরু ছাগলের মত হেয় এবং অহিতকারী সঙ্গী বলে আপনি যে উপমাটি আজ দিলেন তা আমি মানতে কিছুতেই সম্মত নই, বরং আমি একথাই বলবো যে, নারীজাতি আমাদের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীবনে অপরিহাৰ্য্য সঙ্গিনী ও সহায়িকা । শ্ৰীবামকৃষ্ণ আমার যুক্তি সমর্থন করিলেন না। শুধু মাথা নাড়িয়া জানাইলেন- এ ধারণা ভ্ৰান্ত । আলাপ আলোচনায় সেদিন সন্ধ্যা হইয়া গেল। পশ্চিমাকাশের দিকে দৃষ্টি ফিবাইয়া তিনি সকৌতুকে বলিয়া উঠিলেন-- কি গো ! সন্ধ্যে তো হয় ! তাড়াতাড়ি ঘর-পোষা জীব ঘরে ফিরে যাও, নইলে গিন্নী আবার ঘরে ঢুকতে দেবে না। মহাপুরুষের সেই সরল অনাবিল রসিকতায় উপস্থিত ব্যক্তিরা সকলেই হাসিয়া উঠিলেন। কেবল নারা সম্পর্কেই নহে, শ্ৰীরামকৃষ্ণের সাধনার অন্যান্য পন্থাগুলিও বড় বিচিত্র ছিল । তিনি নিজে ছিলেন ধৰ্ম্ম-অস্ত-প্ৰাণ । ধৰ্ম্ম ব্যতীত জীবনে অন্য কোন কামনাই যে তঁহার ছিল নাএসম্পর্কে দ্বিমতের অবকাশ নাই। কিন্তু তাহার অবলম্বিত রীতিনীতিগুলিকে আমি সময়ের অপব্যবহার বলিয়াই মনে করি । র্তাহার নিজ মুখ হইতেই শুনিয়াছি যে, সে সময় দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে বিভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী সাধু সন্ন্যাসীর যাতায়াত ছিল। S8