পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে আমার বিশেষ হৃদ্যত জন্মে। আমার মুখে শ্ৰীরামকৃষ্ণের বহু কথা শুনিয়া তিনি এই শক্তিমান সাধক পুরুষকে দর্শনের আকাজক্ষা প্ৰকাশ করেন। আমি একদিন বন্ধুটিকে লইয়া দক্ষিণেশ্বরে উপস্থিত হই । রামকৃষ্ণের সহিত র্তাহার পরিচয় করাইবার কালে বলিলাম-ইনি একজন খৃষ্টান ধৰ্ম্মযাজক, লোকমুখে ও আমার কাছে আপনার কথা শুনে আপনাকে দেখতে এসেছেন। আমার কথার উত্তর দিবার পূৰ্ব্বে শ্ৰীরামকৃষ্ণ বারংবার ভূমিতে মস্তক স্পর্শ করিয়া বলিতে লাগিলেন-মহাত্মা যিশুর চরণে আমার শত শত প্ৰণাম । যিশু সম্পর্কে একটি অপর ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ভুক্ত সাধকের এরূপ অকুণ্ঠ শ্ৰদ্ধা জ্ঞাপন আগন্তুক খৃষ্টান যাজকটিকে বিস্মিত করিয়া তুলিল। তিনি সবিস্ময়ে বলিয়া উঠিলেন-মশাই, আপনি যিশুর চরণোদেশে যে নত হয়ে প্ৰণাম করলেন তার তাৎপৰ্য্য কি ? রামকৃষ্ণ মধুর কণ্ঠে বলিলেন- সে কি গো ! তাকে প্ৰণাম করব না ? তিনি যে ভগবানের অবতার ! মানুষকে ত্ৰাণ করবার জন্য নরদেহে মৰ্ত্ত্যে অবতরণ করেছিলেন । বন্ধু ততোধিক বিস্ময়পূর্ণ কণ্ঠে প্রশ্ন করিলেন—অবতার ? ঈশ্বরের অবতরণ ? আমি কিন্তু এর কোন অর্থ ই বুঝলাম ন! } আপনি কি দয়া করে আমায় আর একটু পরিস্কার করে এ কথাগুলো বুঝিয়ে দেবেন ? — এ দেশে যিনি রাম, কৃষ্ণরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন যিশু ও র্তার সেইরূপ আর এক প্ৰকাশ ! তুমি ভাগবত পড়নি ? তাতে > G 8