পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्रभिक्लर्3 °प्रभश्१म লেখা আছে, অনন্ত শক্তিমান ভগবান জীবের কল্যাণার্থে নরদেহে বহুবার অবতরণ করবেন । —আমি কিন্তু এখনও এর তাৎপৰ্য্য বুঝতে পারছিনে । আপনি যদি দয়া করে আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন তা হলে বাধিত হবো । -একটু সাধারণ কথা দিয়েই বলি। আচ্ছা, সমুদ্রের কথাই ধর । যখন এর দিকে তাকাও, এর অনন্ত জলরাশি ছাড়া কিছুই দৃষ্টিপথে আসে না । কিন্তু ঠাণ্ডায় যখন জলভাগের কিছুটা জমে যায়। তখন এই অসীমতার মধ্যে তোমার দৃষ্টি সীমিত হয়, অবলম্বনের একটা ক্ষেত্র খুজে পায়, তুমি একে ইচ্ছে বা প্ৰয়োজন মত ব্যবহার করতে ও পার | অবতার সম্পর্কেও সেই একই কথা । ঈশ্বর অনশ্য, অরূপ, বিশ্বব্যাপী । কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে এই অসীম শক্তি সীমার মাঝে রূপ নিয়ে আসেন। এই শক্তি র্যাদের, তাদের আমরা বলি মহাপুরুষ, মহাত্মা বা অবতার। অবতার ঈশ্বরের বিশেষভাবের প্রকাশকেই বুঝায়। মহাপুরুষদের লোকোত্তর জীবনের মধ্যে দিয়েই লীলামায়ের স্বগীয় সত্তার প্রকাশটি ঘটে । এ হচ্ছে অবতারের ব্যাখ্যা । -এবারে আমি আপনার কথা বুঝলাম, কিন্তু এ তত্ত্ব গ্ৰহণ করতে পারছিনে । এই কথা কয়টি বলিয়া জিজ্ঞাসু নোত্রে বন্ধু আমার দিকে ফিরিয়া বলিলেন--- অবতারবাদ সম্পর্কে ব্ৰাহ্ম সম্প্রদায়ের অভিমত কি বলুন তো । G. C.