পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে রামকৃষ্ণ এবার হাসিয়া বলিলেন-ও মুখদের (ব্ৰাহ্মদের ) কথা আর ব'লোনা। এ সত্য বোঝবার মত দৃষ্টি ওদের নেই। আমি অমনি বলিয়া উঠিলাম-আপনাকে কে বলেছে যে, মহাপুরুষদের লোকোত্তর সত্তা সম্বন্ধে আমরা আস্থাবান নাই ? রামকৃষ্ণ ধীর কণ্ঠে উত্তর দিলেন- সত্যই কি তোমরা ঈশ্বরের অবতরণ বিশ্বাস করা ? আমার তো সে ধারণা ছিল না ! এ প্ৰসঙ্গ এইখানেই সমাপ্ত হইল। ইহার পর রামকৃষ্ণ তাহার সেই শিশু-সুলভ ভঙ্গীতে ও ভাষায় অধ্যাত্মিজগতের বহু নিগুঢ় তত্ত্ব সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করিতে থাকেন। খৃষ্টান ধৰ্ম্মযাজকটি সেদিন তাহার প্রগাঢ় জ্ঞানের পরিচয় পাইয়া স্তম্ভিত হইয়া যান। রামকৃষ্ণের গভীর সত্যোপলব্ধি সেদিন আমাকেও বিশেষভাবে আকৃষ্ট করিয়াছিল। ইহার পর হইতে আমি যখনই অবসর পাইতাম দক্ষিণেশ্বরে তাহার নিকট যাইতাম । তঁহার সহিত বহুবার সাক্ষাৎ করিয়াছি। তাঁহার মুখনিঃসৃত পরমতত্ত্বের বহু মূল্যবান ব্যাখ্যা শুনিবার সুযোগও কম পাই নাই। কিন্তু পৃথকভাবে সেগুলি সব আজ আর স্মরণ নাই। স্মৃতিপটে যে ঘটনাগুলি তখন বিশেষভাবে রেখাপাত করিয়াছিল তাহারই কয়েকটি এখানে উদ্ধত করিতেছি।- আমি একদিন শ্ৰীরামকৃষ্ণের কক্ষে বসিয়া আছি, কয়েকটি ভক্তও সেখানে উপবিষ্ট। পরমহংস হঠাৎ এক সময়ে কক্ষ হইতে বাহিরে গিয়াছেন। ভক্তেরা নিজেদের মধ্যেই ঈশ্বরের গুণাগুণের বিচার আরম্ভ করিলেন । তিনি কক্ষমধ্যে প্ৰবেশ Y G. Vy