পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে এই কৌতুকের ভাবটি অবলম্বন করিয়াই কিন্তু সাধকের সমগ্ৰ সত্তায় আধ্যাত্মিক ভাবের অবতরণ ঘটিল। সবিস্ময়ে লক্ষ্য করিলাম, এক দিব্য ভাবের ব্যঞ্জনায় ও অপার্থিব আনন্দে তাহার সমস্ত মুখমণ্ডলটি উজ্জল হইয়া উঠিয়াছে। ভাবাবেশে তিনি বাহজ্ঞানহীন । মাঝে মাঝে অস্ফুট স্বরে বলিতেছেন-মা জগজননী, আমার বাহিত্যুজ্ঞান লোপ করে দিসনে। আমি চিড়িয়াখানায় গিয়ে সিংহ দেখব, আনন্দ করবো। আমায় সে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করিসনে । —বলিতে বলিতে গভীর ভাবাবেশে বাহিত্যুচৈতন্যরাহিত হইয়া তিনি আমার বক্ষে এলাইয়া পড়িলেন। আমি ও উপস্থিত ভক্তবৃন্দ স্তব্ধ বিস্ময়ে এই ব্যাপার দেখিতে লাগিলাম । কিছুক্ষণ পর তিনি ভাবলোক হইতে নামিয়া আসিলেন ও আবার তাহার শিশুসুলভ চপলতা ও সরস কথাবাৰ্ত্তায় সকলকে আনন্দ দিতে লাগিলেন। ইতিমধ্যে গাড়ী সুকিয়া ষ্ট্রীটে পৌছিলে নরেন্দ্রনাথেব দায়িত্বে র্তাহাকে চিড়িয়াখানায় পাঠাইয়া আমি গুহে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করি । রামকৃষ্ণের জীবনের শেষ কয়েক বৎসর আমাব সহিত তাহার খুব অল্পই দেখা হয়-অবশ্য ইহার পিছনে ছিল দুইটি কারণ। প্রথমতঃ, এ সময়ে তঁহার নিকট কয়েকজন নুতন ভক্ত আসেন এবং তঁহাদের মাধ্যমে তাহার সহিত রঙ্গমঞ্চের দু’একটি অভি নেতারও যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা জন্মে। উক্ত ব্যক্তিদের আমি মোটেই مy\\ ؟