পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে ইচ্ছােটুকও অস্তৰ্হিত হইয়া গেল। এক নিঃশ্বাসে বন্ধুদের নাম বলিয়া ফেলিলাম। বলাবাহুল্য তাহাদের ও আমার উপর অজস্র তিরস্কার বর্ষিত হইতে লাগিল। অতঃপর দৃঢ়স্বরে মাতুল বলিলেনপ্ৰতিজ্ঞা কর, জীবনে কখনো ধূমপান করবে না ! অবনত মস্তকে সেদিন জানাইয়াছিলাম, তাহার এ নির্দেশ চিরজীবন পালন করিয়া যাইব । তারপর দীর্ঘদিন অঘাতীত হইয়াছে, আমি আজ বাদ্ধক্যের সীমানায় উপস্থিত, কিন্তু এখনও সে প্ৰতিশ্রদ্ৰুতি শ্ৰদ্ধার সহিতই পালন করিয়া চলিয়াছি। জীবনে আব কোনদিন ধূমপানের বস্তু স্পর্শ করি নাই । আমার চরিত্র গঠনে মাতুল দ্বারকানাথের একটি ডপদেশ বড় কাৰ্য্যকরা হইয়াছিল। তিনি উচ্ছ জ্বলতাকে অত্যন্ত ঘূণা করিতেন এবং আমার আচার-আচরণের প্রতি প্রায়ই সতর্ক দৃষ্টি রাখিতেন। আমাকে বলিতেন-যৌবনের প্রাণ-প্ৰাচুৰ্য্যকে কখনো উচ্ছঙ্খলতার খাতে চালিয়ে না। সৃষ্টিমূলক কাজে শক্তির এ প্রবাহকে নিয়োজিত করে !-মা তুলের নিজের সুসংযত জীবনধারার প্রভাবও আমার চরিত্রকে শক্তিক্ষয়ী উচ্ছঙ্খলতা হইতে রক্ষা করিয়াছিল। প্ৰধানতঃ তাহার ব্যক্তিত্বের প্রভাবে থাকার ফলেই বাল্যকাল হইতে অজানিতে সংযমের বীজ আমার চরিত্রে অঙ্কুরিত হইয়া উঠে। ১৮৫৯ খৃষ্টাব্দে দ্বারকানাথ সোমপ্রকাশ সম্পাদনায় ব্ৰতী হন। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন তাহার সহিত নানাভাবে Ro Vy»