পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বারকানাথ বিস্তাভূষণ সহযোগিতা করিতেছেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন প্ৰায় রোজই আমাদের গৃহে আসিতেন। কলিকাতার বাসায় তখন আমার দিদিমা ও মামামা বাস করিতেছেন । দিদিমার নিবিড় স্নেহস্পর্শে আমার দিনগুলি বড় মধুর হইয়া উঠিয়াছিল। এই মহীয়সী। নারীর কথা বলিতে গিয়া এখনও আমার সমস্ত মনটি আনন্দে ভরিয়া উঠে । বাস্তবিক পক্ষে দেখা যায়, সকল প্ৰতিভাবান ব্যক্তির জননাই অসাধারণ গুণের অধিকারিণী। আমার দিদিমার মধ্যেও ইহা প্ৰত্যক্ষ করিতাম। সংরক্ষণশীল পরিবারে, বহু বাধা নিষেধের মাঝে জন্মগ্রহণ করিয়াও দিদিমা যে এত প্ৰাণপ্ৰাচুৰ্য্য কি করিয়া পাইলেন তাহা ভাবিয়া বিস্ময়ের সীমা থাকিত না । আমার ধারণা হইয়াছে, মনীষীদের মায়েবা জন্মা স্তরের সুকৃতির ফলেই সংস্কারমুক্ত হইয়া জন্মগ্রহণ করেন । কেবল আমার দিদিমার ক্ষেএেই নয়-ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর, কেশব সেন, আনন্দমোহন বসু প্ৰভৃতি মনীষীদের মায়েদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সন্নিধ্যে আসিয়া এই একই সত্য উপলব্ধি করিয়াছি । সে সময় আমার প্রায়ই মনে হইত, এই মহীয়সী মহিলাদের জীবন তথ্যাদি সঙ্কলিত হইলে আমাদের পর ব্যঞ্জী বংশধরেরা অবশ্যই উপকৃত হইতে পরিবে । মনীষীদের চরিত অনুশীলন করতে গিয়া দুইটি সৰ্ব্বজনীন সত্য আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে। প্রথমটি হইতেছে জননাদের বলিষ্ঠ, উদার ও উন্নত চরি এ, দ্বিতীয়তঃ সস্তানদের অপূর্ব মাতৃভক্তি। আমার মা তুলের ক্ষেত্রেও ইহার ব্যতিক্রম ঘটে নাই। २०१