পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ঐ বন্ধুটির সহিত একত্রে বাস করিতেছি। আর্থিক দুৰ্গতি ও সামাজিক বিধিনিষেধের সহিত নিরন্তর সংগ্ৰাম করিয়া আমার স্বাস্থ্য এসময়ে প্রায় ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে। কিছুদিন পূর্ণ বিশ্রামের প্ৰয়োজনীয়তা বুঝিয়া বন্ধুবরের গৃহ হইতে আমি চিংড়িপোতায় মাতুলালয়ে চলিয়ু আসিলাম । সেখানে আসিবার কয়েকদিন পরেই একদিন রা.েএ আমার সেই বন্ধুব শ্যালকের নিকট হইতে এক জরুরী তার আসিয়া উপস্থিত । সে রাত্ৰেই কলিকাতায় আমার উপস্থিতি নাকি বিশেষ প্ৰয়োজন। বাড়া হইতে ষ্টেশন প্ৰায় ৪/৫ মাইলের পথ, রাত্ৰি তিনটার পূৰ্ব্বে কোন ট্রেণ ও নাই। মামামা ও দিদিমা ঘোরতর আপত্তি তুলিয়া বলিলেন—সে কি কথা ! এত রাত্রে কি করে তোমার যাওয়া হয়, কাল সকালে বরং যেয়ে । মহা সমস্যায় পড়িয়া গেলাম । সেই রাত্রে দিদিমার নিযেধ ঠেলিয়া যাওয়া মুস্কিল, অথচ না গেলেও কৰ্ত্তব্যচুতির দায়ে পড়িতে হয়। উপায়াস্তর না দেখিয়া মাতুলের শরণাপন্ন হইলাম। তিনি টেলিগ্রামটি পড়িয়া বলিলেন—তারে রা.েএই যখন যাবার কথা উল্লেখ করা আছে তাতে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি খুব জটিল । এমতাবস্থায় দেরী করা যায় না । আমার প্রতি দৃষ্টি ফিরাইয়া তিনি বলিলেন--তাছাড়া, তারা তোমার উপর যখন এতখানি নির্ভর করে তখন তো তোমার এ সম্পর্কে গুরু দায়িত্ব রয়েছে। এ অবস্থায় নিজের অসুবিধার ভয়ে কালবিলম্ব করাটা সমাচীন মনে করিনে । ఛవలి