পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ আমি হয়ত পরীক্ষার পর স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়াই তোহার পত্রিকা ও বিদ্যালয়ের কাৰ্য্যভার গ্ৰহণ করিব এবং তঁহাকে কিছুটা ভারমুক্ত করিব। আমি এম, এ, পাশ করিবার পর তিনি আমাকে তাহার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে নিযুক্ত করিবার কথাও মনে মনে স্থির করিয়া ফেলেন। কিন্তু ঈশ্বরের সুমভিপ্রায় অন্যরূপ। প্রথমতঃ মাতুলের মনোগত ইচ্ছার কথা আমি জানিতাম না, দ্বিতীয়তঃ দেশের কল্যাণ সাধনের উৎসাহে আত্মীয়-স্বজনের চিন্তা তখন আমার মনে গৌণ হইয়া উঠিয়াছে। ব্ৰাহ্মসমাজের প্রচার ও প্রসারে আত্মোৎসর্গ করিবার ইচ্ছা জানাইয়া আমি একদিন ব্ৰহ্মবান্ধব কেশব সেনের উদ্দেশে এসময়ে গোপনে একটি পত্র প্রেরণ করি। কেশববাবু সানন্দে সে পত্ৰ গ্ৰহণ করেন ও র্তাহার প্রতিষ্ঠিত নারী শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকের পদে আমায় নিযুক্ত করেন। তখন পৰ্য্যস্ত আমার ভবিষ্যৎ কৰ্ম্মপদ্ধতি সম্পর্কে আমার আত্মীয়স্বজনেরা कि छूठे ऊामिCडन भी । ক্ৰমে কাজে যোগ দিবার সময় আসিয়া পড়িল, সুতরাং এইবার মাতুলকে জানাইতেই হয়। একদিন তাহার কক্ষে সংবাদটি দিবার জন্য উপস্থিত হইলাম। মনে মনে তখন খুবই শঙ্কা জাগিতেছে, হয়ত বা তিনি এই কৰ্ম্মে যোগদানে ঘোরতরভাবে বাধা দিবেন। কক্ষে প্ৰবেশ করিয়া বক্তব্য বিষয় বলিলাম। উত্তরের জন্য র্তাহার মুখের দিকে তাকাইয়া দেখি, সে মুখে কোন তিক্ততা বা আশা ভঙ্গের রেখাপাত হয় নাই । তিনি সহজ গাম্ভাৰ্য্যে আমার প্রস্তাবে RR