চতুৰ্দ্দশোল্লাস । 88సి ন মুক্তির্জপনাদ্ধোমাদুপবাসশতৈরপি। ব্রহ্মৈবাহমিতি জ্ঞাত্বা মুক্তে ভবতি দেহভৃৎ ৷৷ ১১৪ আত্মা সাক্ষী বিভূঃ পূর্ণ সত্যোহদ্বৈতঃ পরাৎপরঃ। দেহস্থ্যেহপি ন দেহস্থে জ্ঞাত্বৈবং মুক্তিভাগ ভবেৎ।। ১১৫ বালক্রীড়নবৎ সৰ্ব্বং রূপনামাদিকল্পনম্। বিহায় ব্রহ্মনিষ্ঠে য: স মুক্তে নাত্র সংশয়ঃ।। ১১৬ মনসা কল্পিতা মূৰ্ত্তিনৃণাং চেন্মোক্ষসাধনী । স্বপ্নলন্ধেন রাজ্যেন রাজানো মানবাস্তদশ ৷৷ ১১৭ মৃচ্ছিলাধাতুদাৰ্ব্বাদিমূৰ্ত্তাবীশ্বরবুদ্ধয়ঃ । ক্লিশ্রান্তস্তপসা জ্ঞানং বিনা মোক্ষং ন যান্তি তে ৷ ১১৮ আহারসংযমক্লিষ্ট যথেষ্ট্রাহারতুন্দিলাঃ । ব্রহ্মজ্ঞানবিহীনাশ্চেরিস্কৃতিং তে ব্রজস্তি কিম ৷৷ ১১৯ করিলেও মুক্তি হয় না । কিন্তু “ব্রহ্মই আমি”—এইরূপ জ্ঞান জন্মিলে দেহী মুক্ত হয়। আত্মা –সাক্ষী অর্থাৎ শুভাশুভদ্রঃ, বিভূ অর্থাৎ ধ্বব্যাপক, পূর্ণ, অদ্বিতীয়, পরাৎপর ও দেহসম্বন্ধ হইয়াও দেবধৰ্ম্মে অলিপ্ত,~~ইহা জানিলে নর মুক্তিভাগী হয় । যে ব্যক্তি নাম-রূপাদি কল্পনাকে বাল্যক্রীড়াবৎ পরিত্যাগ করিয়া ব্রহ্মনিষ্ঠ হন, তিনি মুক্তিলাভ করেন—ইহাতে সন্দেহ নাই । মনঃকল্পিত মূৰ্ত্তি যদি মনুষ্যগণের মোক্ষসাধিকা হয়, তাহা হইলে মানবগণ স্বপ্নলব্ধ রাজ্য দ্বারাও প্রকৃত রাজা হইতে পারে। ১১৩– ১১৭। মৃন্ময়, প্রস্তরময়, ধাতুময় বা কাষ্ঠাদিময় মূৰ্ত্তিকে ঈশ্বর বোধ করত তপস্তা দ্বারা লোকে ক্লেশ পায় ; কেননা, তত্ত্বজ্ঞান ব্যতীত মুক্তিলাভ করিতে পারা যায় না। মানবগণ আহার সংযত । করিয়া ক্লেশ ভোগই করুক বা যথেষ্ট আহার দ্বারা স্থূলকায়ই হউক,
