পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চত্তারিংশত্তমোহধ্যায় । سسسسس--{2}{}----س---- স্ত্ররামের নাগপাশে বন্ধন ও রাবণের সহিত যুদ্ধারন্ত । বেদব্যাস কহিতে লাগিলেন, মহ বহু রামচন্দ্র শরণাপন্ন বিভীষণকে (ধৰ্ম্মপরায়ণ) অবগত হইয় তাহার সহিত সৌহৃদ্যসংস্থাপনপূর্বক লঙ্কারাজ্যে তহিকে অভিষিক্ত করিলেন । অনন্তর বলবিক্রমসম্পন্ন বানর ধিপতিকে সমুদ্র লঙ্ঘন করিবার উপায় জিজ্ঞাসা করিলে সুগ্ৰীব কহিতে লাগিল, হে ভগবন্‌! তুমি চিন্তা করি ও না । ধরাধর উৎপাটন করিয়া মহাসিন্ধুর উপরি ভাগে সেতু রচনাপূর্বক সমুদ্র শোষণ করিব ; এবং ক্রমে তাহার পরপারে উত্তীর্ণ হইব । সত্যপরাক্রম রামচন্দ্র সুহৃদের সেই সুখজনক বাক্য শ্রবণ করিয়া হৃষ্টচিত্ত হইলেন ; এবং জলনিধিও স্বয়ং নিদারুণ বন্ধন স্বীকার করিল। তদনন্তর সুগ্ৰীবের বচনানুসারে শমননন্দন নল পৰ্ব্বতপুঞ্জ উৎপাটনপূর্বক সমুদ্রে সেতু বন্ধন করিল। হে মুনিশাৰ্দ্দল ! শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে আরম্ভ হইয়। এই প্রকারে বানরর্যভ নল কর্তৃক সৰ্ব্বলোকের মৃদুস্কর সেতু বিরচিত হইলে, বলবান দশানন শ্রবণ করিয়া ভয়ে মোহ প্রাপ্ত হইল ; ও তাহার শরীর কম্পিত হইয়া উঠিল। হে মহানতে! মহাবাহু রামচন্দ্র কোটিলক্ষ বানর সৈন্তে পরিবেষ্টিত হইয়া লক্ষণসমভিব্যহারে কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে