\}\o a মহাভাগবত্ত | বিধিমতে র্তাহার অর্চনা করিয়া বিপক্ষ বিজয়ের জন্য সংগ্রাম যাত্রা করিব না। অন্তঃকরণে এই প্রকার অবধারণ করিয়া অতি গৌরবের সহিত লক্ষণকে বলিতে লাগিলেন, হে তাত ! অদ্য অপরাহ্ন কালে অামি পার্বণ শ্রাদ্ধ (৩) সমাধা করিয়া তদবসানে রাক্ষসাধিপতির (রাবণের) সহিত যুদ্ধার্থ যাত্রা করিব। সকল বানরগণ, রামবচন শ্রবণ করিয়া তঁহাকে এই কথা বলিতে লাগিল । হে বিধ নিজ দেব ! তুমি যথাবিধি পিতৃপুরুষদিগকে পার্বণ শ্রণদ্ধে পরিতুষ্ট ও পূজা দ্বারা জগৎ-পূজ্য দেবীকে প্রীত করিয়া সমরে শুভাগমন কর । তদনন্তর, শুভকাল সম্প্রাপ্ত হইলে, সত্যপরাক্রম রাম, মনে মধ্যে দেবীর ধ্যান ও আরাধনা সমাপন করিয়া পৰ্ব্বণ সমাধান করিলেন । ( তাহার ) সেই দিনেই নিশাচর সৈন্তের সহিত যুদ্ধারম্ভ হইল দিবাকরকে পশ্চিম দিক আক্রমণ করিয়া উদয় হইতে দেখিয়া রবিণের সৈন্যদিগের সহিত রাবণারির যুদ্ধোদ্যম হইল। (বলিতে কি) সে প্রকার যুদ্ধ ঘটনা কেহ কখন কোন স্থানে দেখা দূরে থাকুক, শ্রবণও, করে নাই। দশানন, অক্ষৌহিণী (৪) সেন। সমভিব্যাহরে চতুরঙ্গবলাম্বিত (৫) মহাবীর অকম্পনকে প্রেরণ ( যুদ্ধার্থ ) করিল। প্রথম দিনের যুদ্ধে রামচন্দ্র তাহকে পরাভূত করিল এবং বীরকেশরী কেশরীনন্দন কোপান্বিত হইয়। তাহাকে অচিরাৎ ) শমনসদনে প্রেরণ করিল। o পিতৃ পুরুষ দিগের উদেশে শ্ৰাদ্ধ করিলে পবিত্ৰাত্মা হওয়া যায় (৪) ২১৮৭০ রথ, ২১৮৭০ গজ, ৬৫৬১০ অশ্ব, ১০৯৩৫০ পদাতি । (৫) অশ্ব, রথ, গজ ও পদাতি ।
