পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ মহাভাগবত । রাজ্ঞীকে সাদর সম্ভাষণ করিয়া কহিলেন, প্রিয়তমে ! আমি তো সকল বিষয়েই তোমাকে অভয় দান করিয়াছি ; তবে আমার নিকট আর নির্লজ্জ হইবার বাধা কি ? রাজ্ঞীর স্বপ্নকথন । দক্ষ প্রজাপতি রাজ্ঞীকে ঐ কথা বলিলে, তিনি রাজাঙ্ক হইতে অবরোহণ করত সম্মুখীন হইয়া বলিলেন, হে প্রাণবল্লভ ! তবে শ্রবণ করুন। স্বপ্লাবস্থায় প্রথমতঃ আমার গৰ্বমধ্যে একটা অপূৰ্ব্বৰূপ কষ্ঠ দর্শন করিলাম। সে কত টা গৌরাঙ্গী ফুল্লারবিন্দের স্যায় পরিষ্কম্ভ-দীর্ঘ নয়না; অষ্টবাছবিভূষিতা। আহা; তোহার) বদনারবিন্দ কতইব সুপ্রসন্ন সেই চন্দ্রাননে যখন আমায় মা ! মা ! বলিয়া সন্ত্রে ধন করিতে লাগিলেন, মহারাজ ! তখন আমার যে আনন্দের উদয় হইয় ছিল, বোধ হইল তাহার নিকট ব্রহ্মপদ তুচ্ছ। কোটি কোটি পূর্ণ চন্দ্রের একদা উদয় হইলেও, বোধ হয় সেই অপৰূপ ৰূপরাশির অনুৰূপ হইতে পরিবে না । সেই শান্তজ্যোতিৰ্ম্ময়, কোমল কান্তিকে নিন্নিমিষ লোচনে চির দিন দর্শন করিলেও নয়নপিপাস। পরিতৃপ্ত হয় না। হায় ; সেরূপ কি আর দেখিব না ! এই কথা বলিয় রাজী মোহে অচৈতন্য হইলেন। রাজা অমনি স্বহস্তে তালবৃন্ত সঞ্চালন দ্বারা অনেক যত্নে মোহাপনয়ন করত কহিলেন, প্রিয়তমে ! তোমার চিন্তা কি? আমি অনেক তপস্ত দ্বারা সেই ৰূপরাশি দর্শন হইবার অঙ্ক রোদ্যম করিয়াfছ ; অপে কালের মধ্যেই সাক্ষাতে প্রত্যক্ষ করিবে। :