পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

● & মহাভাগবত । নার সতী কন্যাকেও ত্রিগুণ ত্মিক, চিদানন্দৰূপিণী, পরম প্রকৃতিৰূপে জানিতে পাfরবেন। মহারাজ ! আপনি যে পরাৎপর্যকে পুত্ৰীভাবে, এবং বিশ্বেশ্বরকে, জামাতৃ ভাবে, প্রাপ্ত হইয়াও আপনার অসীম সৌভাগ্যকে জানিতে পারিলেন না, ইহাতেই বিবেচনা হয়, আপনি বিধি কর্তৃক বঞ্চিত হইয়াছেন । অবনীনাথ ! যদি শ্রেয়ঃ প্রাপ্তির ইচ্ছা থাকে, তবে আমার বাক্যে বিশ্বাস করিয়া সত্য শিবকে পরম প্রকৃতি, এবং পরম পুরুষ বলিয়া হৃদয়ে ধারণা করুন। দধীচি মুনির এই বাক্য শুনিয়া প্রজাপতি কছিলেন, মহর্ষে। আমার সতী কন্যাকে পরম প্রকৃতি, এবং মহাদেবকে যে পরম পুরুষ বলিতেছেন, ইহা সত্যই বটে ; যে হেতু অর্ণপনার সত্যবাদী, কিন্তু এবিষয়ে আমার যথার্থ প্রতীতি হইতেছে না ; ইহার কারণ আপনাকে অমূলক বলিতেছি, মনোযোগ করুন। পূৰ্ব্বকালে, আমার পিতা যখন প্রজ সকলের স্বষ্টি করেন, তখন যে একাদশ জন রুদ্র উৎপন্ন হইলেন, তাহারা সকলে ভীমপরাক্রম, ভীষণাকার ; অতিশয় মহাকায় ; সৰ্ব্বদা ক্রোধে আরক্ত নয়ন ; দ্বীপিচৰ্ম্ম পরিধান; মস্তকে সুদীর্ঘ জটা কুণ্ডলীকৃত হইয়াছে। সেই রুদ্রগণ দৌরাত্মা করিয়া স্বষ্টি লোপ করিতে উদ্যত হইলে, হষ্টিকৰ্ত্ত ইহ দের তুরন্ত স্বভাব দেখিয়া, পিতামাতা যে প্রকার দুরন্তু বালকদিগকে ভয় দেখাইয়া শান্ত করে, সেইৰূপ ভয় প্রদর্শন দ্বারা ইহাদিগকে শাস্ত করিবার জন্য, কিঞ্চিভূক্ষ শব্দে আমাকে কছিলেন, হে পুত্ৰক ! আমার আজ্ঞায় তুমি শীঘ্রই সেই প্রকার প্রতিবিধান কর, যাহাতে এই রুদ্রগণ প্রশ্ৰয় না পায়।