পাতা:মহাভারতম্ (হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ) খন্ড ৫.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিবেদন দযাম্য পরমেশ্ববেব দযীয মহাভাবতেব সভাপর্ব প্রকাশিত হইল। বর্তমান বৎসবেরই গত আষাঢ়মাসে আদিপৰ্ব্ব সমাপ্ত হইযাছিল, আব আজ পৌষমাসে সভাপর্ব সমাপ্ত হইল। একমাত্র পবমেশ্ববেব দযা ব্যতীত এই অল্প সমযেব মধ্যে সভাপৰ্ব্বেব মূলেব সমীচীন পাঠ লেখা এবং তাহার ভাবতকৌমুদীটীক বচন ও বঙ্গানুবাদ বচনা কবা কখনই সম্ভবপব হইত না, কিংবা এই দারুণ অর্থরুস্ক্রতাব মধ্যে থাকিযা এবং সাংসাবিক সমস্ত ব্যাপাবেই ব্যাপৃত বহিষা নির্বিঘ্নে ও স্বস্থ শরীরে সভাপর্ব প্রকাশ কবিতে পাবিতাম না। আদিপৰ্ব্বসম্পাদনে চাবিখানি আদর্শপুস্তকেব উল্লেখ কবিয়াছি, এই পৰ্ব্বসম্পাদনে আর একখানি উৎকৃষ্ট আদর্শপুস্তকের সহাযতা পাইয়াছি। এই পুস্তকখানি প্রীষ একশত বৎসব পূৰ্ব্বে কাশীপ্রদেশীয মহামহোপাধ্যায পণ্ডিতপ্রবব ৮বাপুদেব শাস্ত্রী মহাশষ সংশোধন কবিযাছিলেন। বঙ্গদেশীয পুস্তকের সহিত ইহাব প্রাযই মিল দেখিতে পাওযা যায। প্রাচীন হস্তলিখিত পুস্তকে শ্লোকাঙ্ক দেখিতে পাওযা যায় না, স্বতরাং স্বয়ং বেদব্যাসও যে শ্লোকাঙ্ক লিখিষ গিষাছিলেন, তাহ মনে হয না, কিন্তু পববৰ্ত্তী প্রকাশকমহোদযগণই প্রথমে শ্লোকাঙ্ক সন্নিবেশিত কবিতে আবম্ভ কবেন , তাহাতে র্তাহাবা অন্বযসমাপ্তিব দিকে লক্ষ্য না করিয়া, কেবল “পতং চতুষ্পদী তক্ষ" এই লক্ষণটাবই অনুসরণ কবিয়া বহু স্থানেই প্রত্যেক চারিট চবণকে এক একটী শ্লোক ধবিয তাহাব পরেই শ্লোকাঙ্ক বসাইয়া গিযাছেন। ইহাতেই নানাজাতীয দোষ ঘটিা গিষাছে। এক-পূৰ্ব্বশ্লোকের পবন্ধেব সহিত পর শ্লেকেব পূৰ্ব্বাদ্ধের অন্বযসমাপ্তি হইতে থাকায অধ্যাযসমাপ্তিপৰ্য্যন্ত না গেলে আব অর্থবোধে বিরাম পাওযা যায না ; দ্বিতীয়— এক একটা অধ্যাযকেই এক একটা অভূতপূৰ্ব্ব মুদীর্ঘ কুলক বলিযা স্বীকাব করিতে হয় তৃতীয— সমগ্র পর্বে ঋষিপবিগণিত অপেক্ষা অধিক শ্লোক দেখিতে পাওযা যায, তাহাতে প্রক্ষিপ্ত বলিয়া মনে হয এবং মূল গ্রন্থের উপরেই অশ্রদ্ধা উপস্থিত হয , চতুর্থ—এইভাবে দেখিতে দেখিতে যাইযা অবশিষ্ট দুইটী চবণকেই অনন্তোপীয হইয৷ একটী শ্লোক বলিযা স্বীকার করিতে হয়। প্রথম প্রকাশকমহোদযেরাও ঐ কারণেই অনেক স্থানে কেবল দুইটী চরণের পরে শ্লোকাঙ্ক বসাইয়া গিযাছেন। দুইটী চরণে যে একটী শ্লোক হয, তাহার প্রমাণ পাওযা যায় না। তবে, মার্কণ্ডেয়পুরাণান্তর্গত সপ্তশতীস্তবে (চণ্ডী বা দেবীমাহায্যে) যে দুইটী চরণের পরেও অঙ্কপাত দেখা যায়, তাহা শ্লোকাঙ্ক নহে—মন্ত্রাঙ্ক । সেই জন্যই তাহাতে "নমস্তস্তৈ" এই শবটীর পরেও অঙ্কপাত দেখিতে পাওযা যায়। সপ্তশতীস্তবে সাত শত মন্ত্র আছে ; তাহার মধ্যে কোন হইতে কোন পৰ্য্যস্ত এক একটী মন্ত্র, তাহা কাত্যাযনীতন্ত্রে লিখিত আছে এবং সেই সকল মন্ত্র স্বাল হোম করিবার বিধানও কাত্যায়নীতন্ত্রে রহিয়াছে; অতএব সপ্তশতীস্তবে দুইটী চরণের পরেও অকপাত রহিযাছে দেখিযা মহাভারতেও যে দুইটা চরণের পরে শ্লোকাঙ্কপাত করিতে হুইবে, তাহার কোন প্রমাণ নাই ।