পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৪
মহাভারত।

হুতাশন নিব্বার্ণ করিব; আর ঋত্বিকগণ রজনীযোগে যখন অনবহিত থাকিবেন, কোনও কোনও না সেই সময়ে যজ্ঞপাত্র সকল হরণ করিয়া আনিবে, তাহা হইলেই ধারে বিঘ্ন ঘটিৰেক। অথবা, শত সহস্র নাগগণ সকলকেই এক কালে দংশন করুক, এরূপ করিলে অবশ্যই তাহাদের ত্রাস জম্মিবেক। কিংবা ভুজগের অতি অপবিত্র স্বীয় মূত্র পুরীষ দ্বারা সংস্কৃত ভোজ্য বস্তু সকল দুষিত করুক। আর আর নাগেরা কহিল, আমরাই সেই, যজ্ঞের ঋত্বিক হইব, এবং অগ্রেই দক্ষিণা দাও বলিয়া যজ্ঞ ভঙ্গ করিব। এইরূপ করিলে রাজা জনমেজয় তামাদিগের বশীভূত হইয়া আমাদিগেরই ইচ্ছানুরূপ কর্ম্ম করিবেন। কেহ কেহ কহিল, রাজা যৎকালে জলক্রীড়া করিবেন, তখন তাহাকে রুদ্ধ করিয়া গৃহে আনিয়া বন্ধন করিয়া রাখিব, তাহা হইলেই যজ্ঞ রহিত হইবে। আর কতকগুলি পণ্ডিতম্মন্য মূখ নাগ কহিল, অন্য চেষ্টা পরিত্যাগ করিয়া রাজাকেই দংশন করা ভাল, তাহা হইলেই সকল সম্পন্ন হইল; রাজা মরিলেই সকল অনর্থের মূলোচ্ছেদন হইবেক। মহারাজ! আমাদিগের যেরূপ বুদ্ধি তদনুরূপ কহিলাম; এক্ষণে তোমার যেরূপ অভিমত হয়, কর।

 নাগরাজ বাকিকে ইহা কহিয়া নাগগণ তদীয় মুখ নিরীক্ষণ করিতে লাগিল। বাসুকি কিয়ৎ ক্ষণ চিন্তা করিয়া কহিলেন, হে ভুজঙ্গমগণ! তোমরা সকলে যে পরামর্শ স্থির করিলে তাই আমার মতে কর্তব্য বোধ হইতেছে না। তোমরা যাহা বাহা কহিলে, তাহার কিছুই আমার অভিমত নহে। কিন্তু যাহাতে তোমাদের হিত হয়, এমন কোনও উপায় দেখিতে হইবেক। আপনার ও জ্ঞাতিবর্গের হিতার্থে, আমার মতে মহাত্মা