S মহামন্ত্র / নিৰ্দিষ্ট ভক্তের কৰ্ণে বলিয়াছিলেন, না বহু ভক্তের সম্মুখে উচ্চৈঃস্বরে 为 aV YA উপদেশ দিয়াছিলেন ? “মন্ত্রে'র ন্যায়। ইহা অপরের নিকট অপ্ৰকাশ্য বা মনে মনে জপ্য, ইহা কি শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু বলিয়া দিয়াছিলেন, অথবা ইহা সৰ্ব্বক্ষণ বলিবার জন্য উপদেশ দিয়াছিছেন ? লোকশিক্ষক লীল শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর আচরণ ও শিক্ষার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মহামন্ত্র অপর বিষ্ণু-মন্ত্রের ন্যায় কেবলমাত্ৰ জপ্য নহেন, তাহ উচ্চৈঃস্বরেও কীৰ্ত্তনীয়। ইহা যে কষ্ট-কল্পনা নহে, তাহা শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর নিজ আচরণের মধ্যে বহু ক্ষেত্রে প্রকাশিত হইয়াছে। পরে তাহা বিবৃত হইবে। - ১ অসংখ্যাত কীৰ্ত্তন এখন একটী সন্দেহ এই যে, ‘মন্ত্রেী'র ন্যায়। ‘মহামন্ত্ৰ’ যখন কেবল জপ্য নহে, উচ্চৈঃস্বরেও কীৰ্ত্তনীয়, তখন কি ‘মন্ত্রে যেরূপ সংখ্যা রাখিবার অপরিহাৰ্য্য বিধি আছে, “মহামস্ত্ৰে'ও কি সেইরূপ কোন বিধি নাই ? কারণ, শ্ৰীপ্রভুর উপদেশে স্পষ্টই শ্রুত হয়,- “সৰ্ব্বক্ষণ বল, ইথে বিধি নাহি, আর ॥” অর্থাৎ মহামন্ত্ৰ সৰ্ব্বক্ষণ বল-কীৰ্ত্তন কর, ইহাতে অন্য কোন বিধি নাই অর্থাৎ কীৰ্ত্তন করাই একমাত্র বিধি, ইহাতে অন্য কোন বিধির অবকাশ নাই। ইহাই কি প্রভু-বাক্যের তাৎপৰ্য্য ? শ্ৰীচৈতন্যভাগবতের উক্তিগুলি পুনরায় উদ্ধার করিয়া প্ৰভু-বাক্যের তাৎপৰ্য্য অনুসন্ধান করা যাউক,- “প্ৰভু বলে,-“কহিলাঙ এই মহামন্ত্র । ইহা জাপ’ গিয়া সবে করিয়া নির্বন্ধ ৷ ইহা হৈতে সৰ্ব্ব-সিদ্ধি হইবে সবার । সৰ্ব্বক্ষণ বল”, টুথে বিধি নাহি আর ॥” (চৈ ভা, ম ২৩,৭৭-৭৮) **' Digitized at BRCin dia, com
