পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । , ইহা শুনিয়া জলসেচনীতে পদ রাখিলেন, জলসেচনীতে পদ স্পর্শ হইতেই সেচনী স্বর্ণ হইল। ঈশ্বরী পাটনী তাহ দেখিয়া মনে মনে বিবেচন। করিল, যে ইনি সীমান্য নন, জগজ্জননী ; ছল করিয়৷ আমার নিকট আসিয়াছেন, ঈশ্বরী পাটনী লক্ষ্মীর পদে নত হইয়। প্রণাম করিয়| বহুবিধ স্তব করিল, তখন লক্ষ্মী হাস্য করিয়া কহিলেন ঈশ্বরী পাটনি! তুমি আমার অনেক তপস্যা করিয়াছ, আমি বড় বাধ্য হইয়াছি, বর যাচঞ কর। ঈশ্বরী পাটনী কহিল, মা ! তোমার কুপায় আমার সকল ইচ্ছা পূর্ণ হইল, যদি বর দিবেন তবে অনুগ্রহ করিয়| এই বর দিউন যে, আমার সন্তান যাবৎ জীবিত থাকিবেক যেন দুঃখ ন পায় এবং দুধ ভক্তি খায়। কন্যা তথাস্তু বলিয়া অন্তৰ্দ্ধান হইলেন । বর পাইয়। ঈশ্বরী পাটনী আনন্দাণৰে মগ্ন৷ হইয়। ভবানন্দ মজুমদারের বাটীতে গেল ও উহার গৃহিণীকে সমস্ত ব্লত্তান্ত জ্ঞাত করিল। মজুমদারের বনিত আনন্দসাগরে মগ্ন হইয়। ঈশ্বরী পাটনীকে দিব্য বস্ত্রাতরণে সন্তুষ্ট করিলেন ; পশ্চাৎ পুরব - সিনীরা সকলে আসিয়৷ জয় জয় ধ্বনী করিতে ল - গিল, আহ্বাদের সীমা রহিল না। রজনীযোগে ভবানন্দ মজুমদারের স্ত্রী স্বপ্নে দেখিলেন,এক দিব্যজন কন্যা তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইয়। কহিতেছেন যে আমি তোমার বাটীতে ত্যাসিয়াছি এবং