পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ২৩ রাজ হইলেন। মহারাজ রঘুরাম রায় অত্যন্ত দত্ত। ও পুণ্যবান ; পরম মুখে কালযাপন করেন, রাণীর অধিক বয়ঃক্রম হইল কিন্তু পুত্ৰ ন হওয়াতে সৰ্ব্বদা উভয়ে খেদিত থাকেন । এক দিবস মনে মনে চিন্তা করিয়া স্থির করিলেন, যে ঈশ্বরের আরাধন ব্যতিরেকে উত্তম রত্ব লাভ হয় ন, অতএব আমরা দুই জনে কঠের তপসা করি, ঈশ্বর সাল্পকুল হইয়। অবশ্য পুত্র দিবেন । এই রূপ স্তির করিয়া আরাধনার নিয়ম করিলেন। প্রতুষে গাত্রেধান করিয়া স্বানান স্তর ঈশ্বরের মহতী পূজা করেন ও সুর্য্য দৃষ্টি করিয়৷ উভয়ে জল গ্রহণ করেন । এই রূপে এক বৎসর গত হইল তাহাদিগের এই কঠোর তপস্যাতে সকল লোকের চমৎকার জন্ম ন্মিল ও সকলেই প্রসংশা করিতে লাগিল সম্বৎসর পূর্ণ হইলে অতি সমারোহ পূৰ্ব্বক যজ্ঞ করিলেন । তপস্যার ফলই হউক, অথবা অন্য কোন নৈসর্গিক নিয়ম প্রযুক্তই হউক, যে কারণে হউক রাজ ও রাণীর প্রার্থিত বিষয় অচিরে সুসিদ্ধ হইল । এক দিবস রাত্রে রাজা রঘুরাম রাণীর সহিত অন্তঃপুরে শয়ন করিয়া আছেন, রাত্রি শেষে রাণী স্বপ্ন দর্শন করিয় রাজাকে জাগরিভ করিয়া ভদ্ধ ভান্ত বলিতে লাগিলেন, নাথ ! আহা আমি এক অশচর্য্য স্বপ্ন দেখিলাম, রাজা কহিলেন কি স্বপ্ন দেথিয়াছ ? রাণী কহিলেন, আমি নিদ্রায় ছিলাম