পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ২৫ ধ্বনি হইতে লাগিল, অট্টালিকার উপরে শঙ্খ, ঘন্টা, ভেরী, তুরী, বাবারী, রামশিঙ্গ, ঢঙ্কা, ঢোল, দামামা, বীণা, মৃদঙ্গ, করতাল, ও রামবেণী প্রভূতি নানা যন্ত্রের বাদে চতুর্দিক একতানে আমোদিত হইল। নগরস্থ ধনির রাজপুরে আসিয়া মঙ্গ লাচরণ করিতে লাগিল। হল, হুল, ধ্বনি সৰ্ব্বত্র আরম্ভ হইল । রাজ পরমহিলাদিত হইয়। শত শত সুবৰ্ণ মুদ্র এক এক ব্রাহ্মণকে এবং উদাসীনকে ও অন্ধ আতুর এবং খঞ্জকে প্রদান করিতে লাগিলেন । নগরস্থ সমস্ত লোকের সন্তোষের সীমা নাই, পাত্রের প্রতি রাজা আজ্ঞা করিলেন যাবতীয় নগরের লোকের বাটীতে মৎস্য ও দপি সন্দেশ ভরে ভীরে প্রদান কর। পাত্র রাজাজ্ঞানুসারে সকলের বাটীতে মৎস্যাদি বিতরণ করিয় রাজার নিকট গমন পুৰ্ব্বক নিবেদন করিলেন, মহারাজ ! অন্তঃপুরে যাইয়। পুত্র দর্শন করুন এবং ভূত্যবর্গেরও বাসন। রাজ পুত্ৰকে দেখেন। রাজা হাস্য করিয়া কহিলেন কৰ্ত্তব্য বটে, রাজা অগ্রে পুরমধ্যে গমন করিয়া পুত্ৰ দর্শন করিলেন, পশ্চাৎ দামীদিগের প্রতি আজ্ঞা করিলেন পাত্র প্রভৃতি সমস্ত ভূত্যের রাজপুত্রকে দর্শন করিতে আসিতেছে, সকলকে দেখাও । দাসীরা রাজাজত্ব পালন করিল। পরে সকলেই অন্তঃপুর হইতে আগমন করিয় রাজসভাতে বসিলেন : সমস্ত ব্রাহ্মণের। বেদধ্বনি করিতে লাগিলেন, পরে