পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । ২৯ যে আজ্ঞা বলিয়া স্বীকার করিলেন । অসংখ্য মনুষ্যের কোলাহলে নগরের লোক বধির প্রায় হইল। নগরের শোভার সীমা রহিল না, সহস্র২ রক্ত, পীত, শুভ্রনীল প্রভৃতি বিবিধ পতাকা উড়ডীয়মান হইল, নানা জাতীয় বাদ্যোদাম হইতে লাগিল, রাজপুরে মহামহোৎসব দর্শন করিয় রাজগণ ধন্যবাদ প্রদান করিতে লাগিলেন। দূরদেশীয় পণ্ডিত গণ আগমন করিয়া শাস্ত্রালাপে স্বস্ব স্থানে কালক্ষেপণ করিতে লাগিলেন রাজপুরে প্রত্যহ অপূৰ্ব্ব সভ্য হইতে লাগিল, যাবতীয় রাজগণ এবং পণ্ডিতগণ ও প্রধান মনুষ্য সকলেই রাজ-সভায় গমন করিয়৷ স্বস্ব স্থানে উপবিষ্ট হন, নৰ্ত্তক নৰ্ত্তকী আসিয়া নৃত্য গীত বাদ্য করিতে থাকে এই রূপে মহাসমারোহ পূৰ্ব্বক রাজ পুত্রের বিবাহ সম্পন্ন হইল। পরে মহারাজ রঘুরাম রায়, অনাহূত যে সকল লোক আসিয়াছিল, মনোনীত ধন দিয়া তাহাদিগকে পরিতুষ্ট করিয়া বিদায় করিলেন, সকলে রাজার মুখ্যাতি করিতেই স্বস্ব দেশে গমন করিল। যে সকল রাজগণ ও পণ্ডিত্তগণ এবং প্রধান প্রধান লোকের আগমন হইয়াছিল, তাহাদেরও উপযুক্ত মৰ্য্যাদানুরূপ সম্মান দিয়া বিদায় করিলেন। মুখ্যাতি ও যশঃসৌরক্তে দিঙমণ্ডল আমোদিত হইল; এই প্রকার মহত্তী ঘটা করিয় রাজা রঘুরাম কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বিবাহ দিলেন। রাজা রাণী পুত্র ও পুত্রবধু প্রাপ্তহইয়। পরমাঙ্কাদে