পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । কালযাপন করিতে লাগিলেন । কিছু দিন পরে মহারাজ রঘুরাম রায় কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে রাজ্য দিয়। ঈশ্বর আরাধনায় প্রবৃত্ত হইলেন। কৃষ্ণচন্দ্র রায়, রাজা হইয়। ধৰ্ম্মশাস্ত্র মত প্রজীপালন করিতে আরম্ভ করিলেন, রাজ্যের সকল লোকই সুখী হইল এবং ভূত্যবর্গের নিজ কার্যে মনোযোগী হইল । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের মুখ্যাতির আর সীমা রহিলন। মুরসিদাবাদের নওয়াব সাহেবের নিকট মহারাজ সৰ্ব্ব প্রকারে যশস্বী ও গুণশালী বলিয়া পরিচিত হইলেন । এক দিবস মহারাজ পত্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন, যে আমাদের এ বংশে কেহ কখন যজ্ঞ করিয়াছিলেন কি না ? তাহতে পাত্র নিবেদন করিলেন মহারাজ ! আমরা পুরুষানুক্রমে এ রাজ্যের পাত্ৰ ; স্বৰ্গীয় মহারাজের অনেক প্রকার পুণ্যকৰ্ম্ম করিয়াছেন, কিন্তু কখন যজ্ঞ করেন নাই ! এই বাক্য শ্রবণ করিয়া পত্রিকে কহিলেন, আমি অতি বৃহৎ যজ্ঞ করিব, তুমি তাহার আয়োজন কর। পাত্র নিবেদন করিলেন, মহারাজ ! আগ্রে প্রথান২ পণ্ডিতদিগকে আহ্বান করিয়| স্থির করুন যে কি যজ্ঞ করিবেন ; পশ্চাৎ যেমন আজ্ঞা করিবেন, ভাহাই করিব। রাজা পাত্রের বাক্যে ভট্টাচাৰ্য্যদিগের আগমনার্থ সৰ্ব্বত্র লিপি প্রেরণ করিলেন । শাস্ত্র ব্যবসায়ী বুদ্ধগণ নৃপ সন্দেশ প্রাপ্ত হইয়।