পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রর’য়ের জীবন চরিত। ৩৪ পূৰ্ব্বক যজ্ঞ সম্পূর্ণ করিলেন, এবং সকল লোককে যথেষ্ট ধন দিয়া পরিতৃপ্ত করিলেন, রাজার মুখ্যাতির অীর সীমা থাকিল না পণ্ডিতেরা প্রীত হইয়। রাজার নাম রাখিলেন, অগ্নিহোত্রী বাজপেয়ী শ্ৰীমস্বাহারাজরাজেন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্র রায় । মহারাজ এই নাম প্রাপ্ত হইয়। আনন্দৰ্ণৰে মগ্ন হুইয়৷ পণ্ডিভদিগকে বহুবিধ ধন প্রদান পুৰ্ব্বক বিদায় করিলেন এবং মনের হর্ষে রাজ্য করিতে লাগিলেন ; রাজ্য শাজিত হইলে সৰ্ব্বত্র মুখ্যাতি পাইলেন, প্রজা সকলের যথেষ্ট আহলাদ হইল, কোন রূপে ক্লেশ রহিলন । এক দিবস রাজার অন্তঃকরণে উদয় হইল, মৃগয়ার্থ যাইব, ভূতাদিগকে আজ্ঞ করিলেন তোমরা মুসজ্জ হওঁ ; আজ্ঞ। প্রমণে সকলে প্রস্থত হইল। রাজ অশ্বারোহণে গমন করিয়। নিবিড় বন মধ্যে প্রবেশ করিলেন । বনাভ}স্তরে উপনীত হইয়া দেখেন এক অতিরম্য স্থান চারি দিকে নদী, মধ্যে এক ক্ষুদ্র উপদ্বীপ এবং স্থানে ২ পশু পক্ষী নন। স্বরে গান করিতেছে; মরাল কুল জল ক্রীড়া করিতেছে ; মন্দ মন্দ বায়ু প্রবাহিত হইয়। বিকশিত পুষ্প সমূহের সৌগন্ধ নাসারন্ধে প্রবেশ করাইতেছে। রাজা এই চিত্ত-হর স্থান দর্শন মাত্র চিত্ত বিনোদন নিমিত্ত সেই স্থানে বিশ্রাম করিতে অভিলাষ করিলেন । রাজাজ্ঞাক্রমে ভৃত্যবর্গের রাজার থাকিবার উপযুক্ত স্থান প্রস্তুত