পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। য়াছে। মহারাজ সপরিবারে ভূতন বাটীতে আগমন পুরঃসর পুরী দর্শনে অত্যন্ত তুষ্ট হইয়। পাত্রকে রাজ প্রসাদ প্রদান পূৰ্ব্বক জিজ্ঞাসা করিলেন, অধ্যাপক দিগের স্থান করিয়াছ ? পত্র নিবেদন করিলেন, মহারাজের যে পুষ্পেদান হইয়ছে, তাহার নিকট স্থান আছে, আজ্ঞা করিলে সেই স্থানে প্রস্তুত করি, রাজা কহিলেন অতি শীঘ্র প্রস্তুত কর। রাজজ্ঞানুসারে পৃথক পৃথক পাঠশালা প্রস্তুত করাইলেন, সেই সকল পাঠশালায় প্রধান প্রধান পণ্ডিতেরা বাস করিয়া অধ্যাপন করাইতে লাগিলেন ; এবং নান৷ দেশীয় কিদার্থী লোক আসিয়া শিক্ষা করিতে লাগিল। রাজ। শুভক্ষণে পুরী মধ্যে প্রবেশ করিলেন, আহ্নাদের সীমা রহিল না। পুরীর নাম শিবনিবাস এবং নদীর নাম কঙ্কণা রাখিলেন । পুরৰাসী যাবতীয় মনুয্যের। সদালাপ ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে দিব। যামিনী ক্ষেপণ করিতে লাগিল। এইরূপে মহারাজ বসতি করিতে লাগিলেন। মধ্যে মধ্যে রাজ মুরশিদাবাদে গমন পুৰ্ব্বক নওয়াব সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যথেষ্ট পরিতোষ লাভ করেন, এবং নানা জাতীয় ভেটের দ্রব্য নবাবকে দেন। তৎকালে ধৰ্ম্মাত্মা আলিবর্দি খানওয়াব ছিলেন,সকলের প্রক্তি র্তাহার সমান দায় ছিল। সকল রাজা নওয়াবকে রাজ কর দিয়া মুখে কালক্ষেপণ করিতেন, কাহারও কিছু কয় ছিলনা। যে যেমন মনুষ্য তাহর প্রতি সেইরূপ