পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । ৩৫ হইবেক। তিন পাশ্বে অট্টালিক তন্মধ্যে ভূত্যের থাকিবেক, পরে এক চতুঃসীমাতন্মধ্যে ঈশ্বরের অলয় অপূৰ্ব্ব রম্য স্থান, সহস্র২ লোকে দর্শন করিতে পারে। পরে অপুৰ্ব্ব এই পুরী তন্মধ্যে মহারাজার বিরাজ করণের স্থান। চারিদিকে অট্টালিক। পরে অন্তঃপুর অতি বৃহৎ ও নানা স্থানে নন। প্রকার অট্টালিক। অন্তঃপুরের কিঞ্চিদূরে এক পূম্পোদান, চতুদিকে প্রাচীর যাহাতে অন্তঃপুরস্থ রমণী গণ মুখে কেলী করতে পারে। পুষ্পোদানে নানা জাতীয় পুষ্প, তন্মধ্যে এক অট্টালিকা, তাহাতে বসিয়। রাণী নৰ্ত্তকীদিগের নৃত্য দর্শন এবং গীত বাদ্য শ্রবণ করেন। পশ্চিম দিকে যে পথ আছে সেই পথ দিয়৷ কিঞ্চিৎ গমন করিলে এক ধৰ্ম্মশালা ; সেখানে অন্ধ খঞ্জ আতুর এবং উদাসীন প্রভৃতি যে কেহ উপনীত হইবেক, এবং যাহার যাহা আহারেচ্ছ৷ হইবেক সে তাহাই পাইবেক, তন্নিমিত্ত ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করিয়া রাখিলেন । . পরে পুৰ্ব্ব দিকে এক অপূৰ্ব্ব পুম্পোদ্যান তাহার মধ্য স্থানে অটোলিক এবং নানা জাতীয় বৃক্ষ ও পুষ্প, এই উদ্যানের পর মহারাজার সমস্ত জ্ঞাতি কুটুম্বদিগের পৃথক পৃথক অট্টালিকাময়ী বাটী ; প্রতোক বাটীতে দেবালয়। পাত্র এইরূপ মনোহর ও মুবিস্তৃত বাট প্রস্তুত করিলেন। বাটী নিৰ্ম্মাণ করাইয়:মহারাজকে সম্বাদ দিলেন যে পুরী প্রস্তুত হই