পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। সেরাজদৌল নানা প্রকার দৌরাত্ম্য করিতে অরম্ভ করিল। নদবানিহী তরণীকুল জলমগ্ন করিয়৷ তন্মধ্যস্থ প্রাণী বিয়োগ দর্শন করিয়া আহলাদ প্রকাশ করে, অধিকারস্থ ভদ্রবংশীয় পরম সুন্দরী কন্যা বলক্রমে হরণ করে ওতাহার ধৰ্ম্ম নষ্ট করে এবং গৰ্বিণী স্ত্রী আনিয় তাহার উদর চিরিয়া সন্তানের সঞ্চার দর্শন করে। নবাবের দৌহিত্র এইরূপও অনারূপ বিবিধ দৌরাত্মা করিতে স্মার স্তু করিল । নগরস্ত সমুদয় লোক বিবেচনা করিলেন, যে এদেশে আর থাকা সম্ভবপর নহে, সকলে মুরশিদাবাদ ত্যাগ করিয়া পলায়নপর হইল, চতুর্দিকে হাহাকার শব্দ উঠিল ; সকল লোকেই ঈশ্বরের স্থানে আরাধন। করিতে লাগিল ষে এ দেশে তার যেন যবন অধিকারী না থাকে। কিছু দিন যায়, নবাব আলিবর্দির লেীকান্তর হইলে, সেরাজদ্দৌলা মাতামহের সিংহাসন প্রাপ্ত হইলেন ; যাবতীয় প্রধান প্রধান কৰ্ম্মচারির ভেট দিয়া করপুটে নিবেদন করিলেন, আপনি এখন এ দেশের কৰ্ত্ত হইলেন, যাহাভে রাজ্যের লোকে সুখী হয় তাহা করিবেন, ঈশ্বর আপনাকে সৰ্ব্ব শ্রেষ্ঠ করিলেন এ দেশের লোককে সুখে রাখিলে বহুকাল রাজ্য করিতে পারিবেন । এই প্রকার পাত্র মিত্র লোকে সৰ্ব্বদা বুঝান, কিন্তু দুষ্ট প্রকৃতি হেতু পাত্রের প্রবোধ বাক্য শ্রবণ করেন না সকল লোক এবং প্রধান ২ চাকরের বি