পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৩৯ বেচনা করিলেন, সেরাজদৌলা নবাব থাকিলে কাহারো কল্যাণ নাই ; অতএব কি হইবে কোথ! যাব এই চিন্তায় চিন্তিত হইলেন । বৰ্দ্ধমান,নবদ্বীপ, দিনাজপুর, বিষ্ণুপুর, মেদনীপুর, বীরভূম ইত্যাদি দেশস্থ রাজাগণ প্রধান পাত্রের নিকট উপস্থিত হইয়। সেরাজদ্দৌলার দৌরাত্ম্যনিবেদন করিলেন;পাত্র মহারাজ মহেন্দ্র সকলকে অশ্বিাস দিয়া স্ব২ রাজ্যে প্রেরণ করিলেন । পরে মন্ত্রিগণ নবাব সেরাজদৌলাকে নীতি শিক্ষা করাইতে লাগিলেন । কিন্তু সে শিক্ষায় কিছু মাত্র ফল দর্শিল না ; বরং বালক দ্বিগুণতর মন্দ হইল । অবশেষে মহারাজ মহেন্দ্র, রাজা রমনারায়ণ, রাজা রাজবল্লভ, রাজা কৃষ্ণদাস, ও মীর জাফরালি খাঁ এই সকল লোক ঐক্য হইয়। এক দিবস জগৎসেট মহাশয়ের বাটীতে গমন করিয়া জগৎসেটের সহিত বিরলে বসিয়া পরামর্শ করিতে লাগিলেন,মহারাজ মহেন্দ্র অগ্ৰে কহিলেন আমি যাহা কহি তাহ। আপনার শ্রবণ করুন ; আমরা এদেশে অনেক কালাবধি আছি এবং নবাব সাহেবদিগের অজ্ঞানুবৰ্ত্তী হইয়া সসম্মানে পুরুষানুক্রমে কালক্ষেপণ করিতেছি; এখন যিনি নবাব হইলেন ইহার নিকট দিন দিন মানের লস্থত হইতে লাগিল; প্রজাবর্গের উপর অতিশয় দেীরাত্ম্য করিতেছেন । কতরূপে নিষেধ করিলাম এবং হিতবচনে বুঝাইলাম আমারদের কথা শুনেন