পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪০ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । না আরও দৌরাত্ম্য করেন ; অতএব ইহার উপায় কি সকলে বিবেচনা করুন । রাজা রমনারায়ণ কহিলেন ইহার উপায় এই, হস্তিনাপুরে জনেক গমন করিয়া এ নবাবকে পদচ্যুত করাইয়। অন্য এক নবাব না অানিলে এ রাজ্যের কল্যাণ নাই । রাজা রাজবল্লভ কহিলেন এপরামর্শ ফলদায়ক নয়; হস্তিনাপুরের বাদসহ যবন ; তিনি যে আর এক জন নবাব দিবেন সেও যবন, তাতএব যবন অধিকারী থাকিলে হিন্দুর হিন্দুত্ব থাকিবে না, এইরূপ কথোপকথনে কিছুই স্থির হয় না ; শেষে এই পরামর্শ হইল যাহাতে যবন দূর হয় তাহার চেষ্ট। করা কৰ্ত্তব্য ; ইহাতে জগৎসেট কহিলেন এক কার্য্য কর, নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় অতিশয় বুদ্ধিমান, উহাকে আনিতে দূত পাঠাও, তিনি আসিলেই যে পরামর্শ হয় তাহাই করিব, সকলে সত্য বদ্ধ হইয়া কৃষ্ণনগরে দূত প্রেরণ করিয়া নিজহ স্থানে প্রস্থ ন করিলেন । এদিকে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় শিবনিবাসের বাটীতে মহাহুর্যে বিশ্রাম কারভেছেন, সৰ্ব্বদা আনন্দিত, পুরবামির। সৰ্ব্বক্ষণ উত্তম কৰ্ম্মে নিযুক্ত, নানা দেশীয় গুণবান ব্যক্তি আসিয়া রাজসভায় বসিয়| তাপনাপন গুণের পরীক্ষা দিতেছেন, পণ্ডিতেরা ছাত্র সমভিব্যাহারে রাজার নিকটস্থ হইয়| শাস্ত্র বিচার করতেছেন, দ্বিতীয় রাজা ৰিক্রমাদিত্যের ন্যায় সভা ; সকলেই